সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কুবাজপুর গ্রামে একটি বসতবাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিন আদালতে মামলা চলার পর লন্ডন প্রবাসী জাবের আহমেদ বাড়িটি ফিরে পাওয়ায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধারকৃত বাড়ির সামনে প্রবাসীর পক্ষে ছাতক উপজেলার চরমহল্লা ইউপির চড়বারুকা গ্রামের তার খালাতো ভাই মো. রাজ্জাক হোসেন এবং প্রতিপক্ষ একলি বেগমের পক্ষে তার ভাইয়ের ছেলে জুয়েল মিয়ার উপস্থিতিতে দখলকৃত বাড়ির চাবি ও হস্তান্তর করা হয়।
মো. রাজ্জাক হোসেন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন ২০১৫ সালে লন্ডন প্রবাসী জাবের আহমদের ৪২ শতকের বাড়িতে বিল্ডিং ঘরটি সহ পুরো বাড়িটি দখল করে নেন প্রবাসীর খালা উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের একলি বেগম। ২০১৫ সাল থেকেই দখলকৃত বসতঘরটি দখলের পর থেকে দু”পক্ষই নিজেদের দাবি করে পক্ষে বিপক্ষে ১৫/২০ মামলা দায়ের করা হয়। দীর্ঘদিন মামলাগুলো চলমান থাকার কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে বিজ্ঞ আদালত লন্ডন প্রবাসী জাবের আহমদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। রায় পাওয়ার পর প্রতিপক্ষ একলি বেগমের ভাইয়ের ছেলে জুয়েল মিয়া সাংবাদিকদের সামনে লন্ডন প্রবাসী জারেব মিয়ার পক্ষের মো. রাজ্জাক মিয়ার নিকট বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য জাবের আহমদ দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করায় তার এই কুবাজপুরের বসতবাড়িটি দেখাশুনার দায়িত্বে ছিলেন খালাতো ভাই ছাতকের রাজ্জাক হোসেন। রাজ্জাক হোসেন সব সময় ঐ বাড়িতে না থাকার সুবাদে প্রতিপক্ষ হাবিবপুর গ্রামের প্রবাসীর খালা একলি বেগম তার ভাইয়ের ছেলে জুয়েল মিয়াকে দিয়ে বাড়িটি দখল করে নেন এবং জুয়েল মিয়া ঐ বাড়িতে একটি টিনের ঘর বানিয়ে বসবাস করলে বিল্ডিংয়ের বাড়িটি অন্য দুটি পরিবারের নিকট মাসিক ভাড়ায় দিয়ে দেন। বাড়িটির আনুমানিক মূল্যে ত্রিশলাখ টাকা হবে। খালা একলি বেগমের প্রভাব প্রতিপত্তির কাছে অসহায় ছিলেন প্রবাসী জাবের আহমদ বলে জানান প্রবাসীর খালতো ভাই মো. রাজ্জাক হোসেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য মিল্লাদ হোসেন,কুবাজপুর গ্রামের মো. কাজল মিয়া,আনহার মিয়া,সুমন মিয়া প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া