রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

জামালগঞ্জের আলা উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে অমর একুশে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ, নিজস্ব প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার আলাউদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণে যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার অমর একুশে ফেব্রুয়ারী ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রভাতফেরীর পর সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে জাতীয় সঙ্গীতের পর শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ সমেবেত কণ্ঠে আপন মনে গেয়ে উঠে শিক্ষার্থী ও উপস্থিতি সুধীবৃন্দ।
পরে বিদ্যালয়ের সেমিনার কক্ষে শিক্ষার্থীদের চিত্রাংকন, উপস্থিত বক্তৃতা, জাতীয় সঙ্গীত ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল খায়ের তালুকদার এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আব্দুর রাজ্জাক মাষ্টার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জামালগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ।
উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নুরু মিয়া, ইকবাল হোসেন, জামাল মিয়া, বিল্লাল আহম্মেদ। সাবেক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আব্দুল হক, মকবুল হোসেন, আমির হোসেন, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন, গোলাপ হোসেন সহ এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বিদ্যালয়ে শিক্ষকবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অতিথি বৃন্দ।

বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে পাকিস্তানি শাসকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে যারা জীবন উৎসর্গ করেছিল, যাদের আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছিল বাংলা ভাষার অধিকার, আমরা তাঁদের শ্রদ্ধার সাথে আ-জীবন স্মরণ রাখবো।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে বাংলা ভাষার দাবীতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। ১৪৪ ধারা, ভেঙে ফেলা হয় শোষকের শৃঙ্খল। রক্তে ভেসে যায় রাজপথ। গুলিতে বিদীর্ণ হয় বুক। শহীদ হন রফিক, শফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা আরো অনেকে। ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে অমর হয়ে রইলেন তাঁরা। বাংলা পায় রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা। এর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর লাখো শহীদের তাজা রক্তের বিনিময়ে জন্ম নেয় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ।
মাতৃভাষার জন্যপ্রাণ উৎসর্গের এই দিনটিকে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালে। অমর একুশে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশের চেতনার প্রতীক ‘শহীদ মিনার’। এই শহীদ মিনারে তাঁদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আ-জীবন জাতী তাঁদের স্মরণ করবে।
এছাড়াও উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
##
তৌহিদ চৌধুরী প্রদীপ
২১.০২.২০২৪

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। নিবন্ধন নাম্বার (মফস্বল -২০১) © All rights reserved © 2018-2025 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281