আখেরী চাহার সোম্বা আমাদের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের জন্য পালিত অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি দিবস। আখেরী চাহার সোম্বা অর্থঃ- শেষ বুধবার
১১ হিজরির শুরুতে রসূলুল্লাহ (স) গুরতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। ২৮ সফর বুধবার মহানবী (স) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার।
এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় রসূলুল্লাহ (দঃ) গোসল করেন এবং শেষবারের মত নামাজে ইমামতি করেন। মদীনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন এবং দলে দলে এসে নবী (দঃ) কে একনজর দেখে গেলেন।
সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন।নবীর রোগমুক্তিতে তার অনুসারীরা এতটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তাদের কেউ দাস মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন; যেমনঃ আবু বকর সিদ্দিক (রা) ৫ হাজার দিরহাম, উমর (রা)৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী (রা) ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা) ১০০ উট দান করেন।
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে রোগে নবী করীম (দঃ) ওফাত লাভ করেন সে সময়ে তার কন্যা ফাতেমা (রা.) কে ডেকে আনলেন এবং তার সাথে চুপে চুপে কিছু বললেন। এতে ফাতেমা কেঁদে দিলেন। এরপর আবার কাছে ডেকে এনে তার সাথে চুপে চুপে কিছু বললেন। এতে তিনি হেসে দিলেন। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি এই ব্যাপারে ফাতিমা (রা.) জিজ্ঞেস করলাম। তখন তিনি বললেন, নবী করীম (দঃ) আমাকে চুপে চুপে অবহিত করলেন যে তিনি এ রোগে ওফাত লাভ করবেন। এতে আমি কেঁদে ছিলাম। তারপর আবার আমাকে চুপে চুপে জানালেন যে আমি তাঁর পরিবার পরিজনের প্রথম ব্যক্তি যে তাঁর সাথে মিলিত হব। এতে আমি হেসে ছিলাম। -(বুখারী শরীফ)
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।