বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

বিশ্বনাথে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাটি ভরাটে বাণিজ্য!

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ১৪৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ন প্রকল্পের মাটি ভরাটে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৫শত টাকা বাণিজ্যের সন্ধান পাওয়া গেছে।

ইউনিয়ন পরিষদের তিনটি প্রকল্প থেকে নেয়া বরাদ্দের ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫শত টাকার মধ্যে মাত্র ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকার কাজ করে বাকি ৬লাখ ১৬হাজার ৫শত টাকাই বাণিজ্য করা হয়েছে। মাটি কাটার দু’জন ঠিকাদারের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রায় বছর খানেক পূর্বে উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের রাজাগঞ্জ বাজারের দক্ষিণে দুটি স্থানে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাটি ভরাটের জন্য ওই প্রকল্পগুলোর তালিকা করে ইউনিয়ন পরিষদ।

প্রকল্পগুলো হচ্ছে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রথম কিস্তি, গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) প্রথম কিস্তি ও অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প।

প্রকল্পের তালিকা থেকে জানাযায় এই তিনটি প্রকল্প থেকে পূষণি মৌজার ১৮৭ দাগে তিন একর খাস জমিতে মাটি ভরাটের জন্য মোট টাকা নেয়া হয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫ শত টাকা।

মাটিগুলো ক্রয় না করে রাজাগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশ কান্দি গাও গ্রামের সামন হতে স্থানীয় মাকুন্দা নদী থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের ভিটায় নেয়া হয়েছে।

মাটি নেয়ার স্থান থেকে আশ্রয়ন প্রকল্পের স্থান হবে অনুমান ৫০০ থেকে ৬০০ মিটার দুরত্ব। আবার অনেক মাটি মাত্র ৩০০ফুট দুরত্ব থেকেও নেয়া হয়েছে। শুধু মাটির যাতায়াত খরচ বাবত ওই ব্যায় ধরা হয়েছে ১৭ লাখ ৩১ হাজার ৫শত টাকা।

কিন্তু মাটি কাটার দু’জন ঠিকাদারের সাথে আলাপ করে জানাযায় তারা দু’জনকে দেয়া হয়েছে মাত্র ১১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

তারমধ্যে একজন মাটির ঠিকাদার সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি মাটি কাটা ও যাতায়াত খরচ বাবত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন।

অপর আরেকজন ঠিকাদার রাকিব আলী বলেন, তিনি ওই মাটি কাটা, যাতায়াত ও লেবারের খরচ বাবত নিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে পিআইও ও চেয়ারম্যান দায় নিতে নারাজ। তারা একে অপরের কথা বলছেন।

বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় চেয়ারম্যান তালুকদার মোহাম্মদ গিয়াস বলেন, তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নির্দেশে প্রকল্প তৈরী করে টাকা দিয়েছেন। বাকি সব কিছুই নিয়ন্ত্রন করেছেন এদুই কর্মকর্তা।

আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিনাল কান্তি রায় বলেন, সাবেক ইউএনও বর্ণালী পাল থাকা অবস্থায় ওই মাটি ভরাট করা হয়েছে।

কিন্তু চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিল অনুযায়ি তারা টাকা দিয়েছেন বলে জানান। সাবেক ইউএনও বর্ণালী পাল বদলি হয়ে অনত্র চলে যাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্বব হয়নি।

তবে বর্তমান ইউএনও সুমন চন্দ্র দাশ সাংবাদিকদের বলেন, এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত স্বাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281