বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

বিশ্বনাথে স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত

মোঃ আবুল কাশেম
  • সংবাদ প্রকাশ শনিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির প্রাক্তন এক সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালেয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. কবীর আহমদকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী ১০ অক্টোবর দুপুর ১২ টায় অধ্যক্ষের কক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ৪ অক্টোবর বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি, অভিযোগকারী এবং অধ্যক্ষ বারবর প্রেরণ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন সভাপতি ফখরুল আহমদ মতছিনের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি, দন্ডিত আসামি হয়েও বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়।

বিষয়টি তদন্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, ফখরুল আহমদ মতছিন বিদ্যালয়ের ১৩টি গাছ বিক্রির আগে জেলা প্রশাসন, বনবিভাগ কিংবা শিক্ষা বিভাগের অনুমতি নেননি এবং ওই গাছ বিক্রির নিম্নতম বাজার মূল্য ২ লাখ টাকা তা নির্দিষ্ট খাতে জমা করেননি।

আরেক অভিযোগে বলা হয়, ফখরুল ২০১৭ সালে দুইটি এবং ২০১৮ সালে একটি মামলায় দ-িন্ডত হয়েও বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, যা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রবিধানমালার পরিপন্থি।

সর্বশেষ অভিযোগ হলো অর্থ আত্মসাতের; যেখানে বলা হয়, তিনি বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম করেছেন; বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নাস্তার টাকা বাবদ খরচ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং কলেজ শাখার আয় থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।

এ ব্যপারে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. কবীর আহমদ বলেন, এবিষয়ে একটি চিঠি ইস্যু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।

অভিযোগের বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ এইচ এম আব্দুর রহিম বলেন, যেহেতু বিষয়টি তদন্তনাধীন তাই এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করছি না।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির প্রাক্তন সভাপতি ফখরুল আহমদ মতছিনের মুঠোফোনে কল দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি।

এর আগে স্থানীয় তিনজনের স্বাক্ষরে গত ২৩ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালেয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এই আবেদন করা হয়।

এর প্রেক্ষিতে গত ০৪ আগস্ট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থার নির্দেশ দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। অভিযোগে দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শুভাকাক্সক্ষী ও অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন মো. আব্দুল সালাম, এম এম ইসলাম খানসহ ৩ জন।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281