বৈরী আবহাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ ঈদগাহতে না পড়তে পারায় কোনোরকম মসজিদে কষ্ট করে ঈদের নামাজ শেষ করতে পারলেও কোরবানি নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সুনামগঞ্জের মানুষ। ঈদের দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কোরবানি জবেহ ও মাংস কাটাকুটি নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার বেশিরভাগ এলাকায় সমাজবদ্ধভাবে কোরবানি জবাই ও মাংস প্রক্রিয়া করা হয়। এসব কাজ সমাজের সদস্যরাই করে থাকেন। ঈদের দিন প্রায় বিকেল পর্যন্ত চলে কোরবানি কাটা-ছেঁড়ার কাজ। কিন্তু এবার নামাজের আগে থেকেই অঝোরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় কোরবানি নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে গেছেন তারা। সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে গেলেও কোরবানির মাংস প্রস্তুতের কাজ শুরু করতে পারেননি অনেকে। কোথাও কোথাও ত্রিপাল টাঙিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে অনেকে তাড়াহুড়ো করে কোরবানির পশু কাটা-ছেঁড়া করতে গিয়ে চামড়া ও মাংস নষ্ট করে ফেলেছেন। অনেক স্থানে জবাই করা পশু বৃষ্টির মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
সুনামগঞ্জ পৌরসভার জলিলপুর গ্রামের আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘ভারী বর্ষণে কোরবানির পশু জবাই ও কাটা-ছেঁড়া করার জায়গায় পানি জমে গেছে। জবাই করা পশু ছিলতে কষ্ট হচ্ছে। এজন্য কাদামাটির মধ্যে ত্রিপল টানিয়ে কাটা ছেড়া করতে হচ্ছে।
উত্তর আরপিনগরের বাসিন্দা শাহিদুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর সমাজের সব কোরবানির পশু জবাই, মাংস কাটা ও বন্টন করতে বিকেল হয়ে যায়। বৃষ্টির কারণে দুপুর পর্যন্ত কোনো কোরবানির মাংস প্রক্রিয়া করা সম্ভব হয়নি। এবার আরও সময় লেগে যাবে মনে হয়।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার হাসাউরা গ্রামের মোহাম্মদ আমির হোসাইন সামি বলেন বৃষ্টি হওয়ার আগে দু-একটি পশু কাটা শুরু করা গেলেও বৃষ্টির কারণে কাদাপানিতে কিছু মাংস নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি কোরবানির মাংস প্রক্রিয়ার কাজ বাধ্য হয়ে ঘরে ভিতরে এবং বারান্দায় করতে হচ্ছে এবং বৃষ্টি থামার পর বাকি কাজ করা হবে।’
জলিলপুর চারগ্রাম মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আতাউর রহমান বলেন, ‘অন্য বছর আমাদের মাদ্রাসার শিক্ষক ও ছাত্ররা পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে কোরবানির পশু জবাই করে দিয়ে আসেন। সকাল ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে সব পশু জবাই সম্পন্ন হয়ে যায়। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে দুপুর পর্যন্ত অনেকের পশু জবাই করা যায়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া