মূলত মাথার পেছনের সাইডে বল লেগেছে মুস্তাফিজের। ফর্ড যখন ব্যাট করছিলেন, তখন বোলিং প্রান্তে ছিলেন মুস্তাফিজ। হঠাৎ ফর্ডের খেলা বল উড়ে গিয়ে এই বাঁহাতি পেসারের মাথায় আঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মুস্তাফিজকে স্ট্রেচারে শুইয়ে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়।
চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের পর জানা যায়, মুস্তাফিজের মাথার বাইরের অংশ কেটে গেলেও ভেতরে কোনো রকমের আঘাত লাগেনি। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের টিম ফিজিও জাহিদুল ইসলাম সজল জানান, ‘সিটি স্ক্যানের পর আমরা সন্তুষ্ট যে, এটা কেবলই বাহ্যিক ইনজুরি। অভ্যন্তরীন কোনো রক্তক্ষণ নেই। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফিজিও টিমের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন। এছাড়া তার ক্ষতে সেলাই করা হয়েছে।’
মুস্তাফিজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানান, ‘যতটুকু আমরা এখন পর্যন্ত জানি, উনি কোনো ধরনের শঙ্কার ভেতরে নেই। উনি কথা বলতে পারছেন, উনার নিজের নাম উনি বলতে পারছেন। সকল ব্যাপারে কমিউনিকেশন করতে পারছেন। বই-খাতায় যেভাবে বলা আছে কনকাশন হলে কি প্রটোকল; উনি এখনও বড় রকমের কনকাশনে আক্রান্ত হননি।
মুস্তাফিজকে ঢাকায় নেওয়ার পরিকল্পনা আছে কি-না এ প্রসঙ্গে সজল বলেন, ‘এখানে আমরা নিউরোসার্জনকে যেহেতু পেয়েছি। সিটি স্ক্যান যেহেতু নরমাল আছে। ঢাকাতে আমরা ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর সঙ্গে আপডেট রাখছি। সকল পেপার আমরা ঢাকাতে ফরোয়ার্ড করেছি। ডাক্তার দেবাশীষ উনার সিটি স্ক্যান পেপারগুলো দেখেছেন। আমরা এখনও ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে যাইনি।'
সিটি স্ক্যানের মুস্তাফিজের রিপোর্টে খানিকটা স্বস্তি ফিরেছে ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে। যেহেতু অভ্যন্তরণীন কোনো চোট নেই তাই আশা করা হচ্ছে দ্রুতই মাঠে ফিরতে পারবেন এই পেসার। তবে সেলাই লাগার কারণে কিছু দিন অবশ্যই মাঠে বাইরে থাকতে হবে। সেটা সপ্তাহ খানেক হতে পারে। তবে এখনও নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
আপাতত ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন মুস্তাফিজ। এরপরই জানা যাবে, আবারও কবে থেকে মাঠে ফিরতে পারবেন এই পেসার। তাই এবারের আসরে আবারও মাঠে দেখা যেতে পারে মুস্তাফিজকে।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা।
সম্পাদক: কাউছার উদ্দিন সুমন, নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ, বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান। অস্থায়ী বার্তা বাণিজ্যিক কার্যলয়: জয়নগর বাজার, সুনামগঞ্জ। ই-মেইল: Haworbartaofficials@gmail.com মোবাইল: ০১৬৪৭-৮৩৪৩০৩।