মহি উদ্দিন আরিফ
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের হলিদাকান্দা মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের প্রতম শ্রেণীর ক্লাসরুমে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, তাদের ধারণা হচ্ছে যে, ইলেক্টিক শট সার্কিট বা বজ্রপাত থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হতে পারে তবে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারছে না। আগুন লাগার পর নজরে আসতেই আগুন নেভাতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।আগুন নেভাতে পুকুর থেকে সেচ ইন্জিনের মাধ্যমে লুস পাইপ দিয়ে পানি দেওয়া হয়। তাঁদের প্রচেষ্টায় প্রায় এক ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ক্লাসরুমে পাট ও পাটকাটি রাখা ছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে আগুন লেগেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আশপাশের প্রতিবেশী বাড়ি ঘর গুলোর কোনো জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হলেও ওই ক্লাস রুমে থাকা ব্রেঞ্চ, দরজা,জানালা,ব্ল্যাকবোর্ড,বৈদ্যুতিক লাইন পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল আহমেদ বলেন, কীভাবে আগুন লেগেছে তা আমরা জানি না। আমরা পকুর থেকে সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক আহমেদ বলেন,আগুন নিভানোর জন্য আমরা সবাই এগিয়ে আসি। ক্লাসরুমে থাকা ব্রেঞ্চ, দরজা,জানালা,বৈদ্যুতিক লাইন পুড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা তামান্না আক্তার শাপলা বলেন, শুক্রবার ও শনিবার সপ্তাহিক ছুটি থাকায় এই অগ্নি কাণ্ডের ব্যাপারে কিছু বলতে পারতেছি না। আজ বিদ্যালয়ে এসে জানতে পারলাম। আর আমরা নতুন ভবন পাওয়াই পুরাতন ভবনটি আর ব্যবহার করছি না। তাই এই ভবনটি পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। ওই ক্লাস রুমে যে ব্রেঞ্চ গুলো ছিলো সে গুলো পুড়েছে। এই ক্ষতির টাকা পরিমাণ আমি এখন বলতে পারছিনা। প্রধান শিক্ষিকা কল্পনা রাণী ছুটিতে রয়েছেন। তবে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করবে কিনা এব্যাপারে বলেন যে, হেড ম্যাডামের সাথে কথা না বলে কিছু করতে পারছিনা।
এব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকা কল্পনা রাণীর মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানবেন্দ্র দাস বলেন, হলিদাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নি কাণ্ডের খবর আমি পেয়েছি ও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এ খবর জানিয়েছি। আমি বিদ্যালয় পরিদর্শনে যাবো।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, ধর্মপাশায় কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অগ্নি কাণ্ডের খবর কেউ আমাকে জানাইনি। আপনার মাধ্যমেই জানতে পারলাম আমি খুঁজ নিয়ে দেখবো। যদি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কোনো গাফিলতির কারণে এমনটি হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।