দৈনিক হাওড় বার্তা
নিজেস্ব প্রতিবেদক: শান্তিগঞ্জের পাথারিয়া গ্রামের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে আনহার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্র হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহত শিক্ষার্থী পাশ্ববর্তী শিমুলবাঁক ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের ফারুল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানায়, আহত শিক্ষার্থীর পাথারিয়া গ্রামে নানার বাড়ি থেকে সুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে সে। বুধবার বিকালে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তের হামলা শিকার হয় সে। তাঁর হাতে ও গলায় রক্তাক্ত জখম হওয়ায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিলেট এমএজি ওসমানি মেডিকেলে রেফার করে।
আহত শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন ধরে পাথারিয়া গ্রামের পঞ্চায়েত টাকা নিয়ে গ্রামবাসী ও গ্রামের প্রভাবশালী মোড়ল ছওয়াব আলীর মধ্যে কোন্দল চলে আসছিল। বুধবার সকালে এ নিয়ে বিরোধ হলে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এটি সংঘর্ষে রূপ নিলে স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে আসে। গ্রামের পক্ষের আপ্তা মিয়ার নাতি আনহার স্কুল থেকে ফেরার পথে সহপাঠী বাসায় নোট আনতে গেলে মোড়ল ছওয়াব আলীর পক্ষের লোকেরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় গুরুতর আহত হয় স্কুল ছাত্র আনহার। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে পাঠায়। সে এখন সিলেট ওসমানী মেডিকেলে চিকিৎসারত রয়েছে।আহত শিশুর বাবা ফারুল মিয়া বলেন, আমার ছেলে তাঁর নানা বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করে। গ্রামের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এখানে আমার ছেলের অপরাধ কি। তাঁকে কেন আমার ছেলে উপর এমন বরের্বোচিত হামলা করে। আমি অসহায় মানুষ। আমি আইনের কাছে বিচার চাই। এই ঘটনায় মামলা কবেন বলে জানালেন তিনি।
অভিযোগের ব্যাপারে ছওয়াব আলীর মোবাইল ফোনে কল করে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কল কেটে দেন তিনি। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও কল রিসিভ করেননি তিনি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী বলেন, পাথারিয়া গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল পুলিশ তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এক পক্ষের হামলায় স্কুল ছাত্র আহত হয়েছে। তবে এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।