সিলেট ব্যুরো প্রধান
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জাফলংয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের বেধড়ক লাঠিপেটা করার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে দু’জনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন—উপজেলার পন্নগ্রামের মৃত রাখাল চন্দ্র দাসের ছেলে লক্ষ্মণ চন্দ্র দাস (২১) ও একই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে সেলিম আহমেদ (২০)।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ।
জানা যায়, দুপুরে জাফলং পর্যটন এলাকায় ঈদুল ফিতরের ছুটিতে জাফলংয়ে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের বেধড়ক লাঠিপেটা করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা। এ সময় তারা নারী পর্যটকদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈদের দিনগুলোতে টিকিট বিক্রি ও ছবি তোলার নামে স্বেচ্ছাসেবক নামধারী কতিপয় যুবক পর্যটকদের সঙ্গে চাঁদাবাজি করছিলেন। একটি ছবি তুলে তারা পর্যটকদের জিম্মি করে এক হাজার থেকে ১৫শ’ টাকা দাবি করেন।
এ নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে ওই পর্যটন এলাকায় স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করা কতিপয় যুবক পর্যটকদের ওপর বেপরোয়া হয়ে হামলা করেন। তারা বাঁশের লাঠি দিয়ে পর্যটকদের পেটাতে থাকেন। এ সময় তরুণীরা তাদের সঙ্গীদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরও মারধর, হেনস্তা করা হয়। স্থানীয়রা ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গোয়াইনঘাট থানার ওসি কে.এম নজরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে বার বার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।