হাওড় বার্তা
স্টাফ রিপোর্টার ::দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নে ভুল ম্যাপ ব্যবহার করে জনশুমারি ও গৃহগণনার কাজ করার অভিযোগ উঠেছে পরিসংখ্যান অফিসের বিরুদ্ধে। এব্যাপারে গত রবিবার (১২ জুন) সুনামগঞ্জ জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত করেছেন পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পান্ডারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১১ সালে জনশুমারি কাজের সময় পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পান্ডারগাঁও নতুন বাজারে পান্ডারগাঁও গ্রামের নামে জনশুমারির কাজ পরিচালিত হয়। এটি ডুমরুয়া মৌজার অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু সম্প্রতি জনশুমারির কাজে পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ডুমরুয়া মৌজার যে ম্যাপ তৈরি করা হয়েছে সেখানে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভিন্ন বাড়ির সীমানা ওলটপালট করা হয়েছে এবং এই ম্যাপে পান্ডারগাঁও নতুন বাজার নামের জায়গায় শ্রীপুর নতুন বাজার ও পান্ডারগাঁও নামের জায়গায় শ্রীপুর বাজার নামে দুটি নতুন শব্দ সংযুক্ত করা হয়েছে। যা ইচ্ছাকৃত এবং পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, নতুন দুটি শব্দ সংযুক্ত করায় পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এতে যেকোনো সময় দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি হয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার শঙ্কা রয়েছে। তাই অবিলম্বে ডুমরুয়া মৌজার ম্যাপের ভুল সংশোধন করে নতুন শব্দ দুটি বাদ দিয়ে জনশুমারির কাজ পরিচালনা করার দাবি জানানো হয়।
অভিযোগকারী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে পান্ডারগাঁও নতুন বাজার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং গ্রামের নাম পূর্ব থেকেই পান্ডারগাঁও। এই নামে একাধিক প্রতিষ্ঠানের নামও রয়েছে। কিন্তু একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে নতুন নাম সংযুক্ত করার তৎপরতা চালাচ্ছে। যার হীন উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে সম্প্রতি জনশুমারির কাজে ব্যবহৃত ডুমরুয়া মৌজার ম্যাপে। আমরা গ্রামবাসী সবাই বসে প্রতিবাদ সভা করেছি, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবগত করেছি এবং জেলা পরিসংখ্যান অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এটি সংশোধন না করা হলে আমরা আইনের দারস্থ হবো।’
এবিষয়ে জানতে চাইলে পান্ডারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহিদ জানান, ‘এবিষয়ে পান্ডারগাঁও গ্রামবাসী ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা শোয়েব আহমদ আমাকে জানিয়েছে। আমি জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তার সাথেও আলাপ করেছি। তিনি পরামর্শ দিয়েছেন নাম সংক্রান্ত বিষয়ে আপত্তি থাকলে ইউএনও’র কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানাতে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মিন্টু সরকার জানান, ‘আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। গ্রামবাসী ডুমরুয়া মৌজার ম্যাপের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। তারা জনশুমারি ও গৃহগণনা কাজের তথ্য দিচ্ছেননা এরআগে নাম সংশোধনের দাবি জানাচ্ছেন। পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যানের সাথেও আলাপ হয়েছে। নামের বিরোধ নিয়ে হাইকোর্টেও নাকি একটা মামলা চলমান আছে। এবিষয়ে আমাদের কোনো এখতিয়ার নেই। তাদেরকে বলছি এবিষয়ে ইউএনও অথবা ডিসি মহোদয়ের নিকট লিখিত ভাবে জানাতে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।