নিজেস্ব প্রতিবেদক: সুনামগঞ্জে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি দেশী হাঁস-মুরগিসহ ব্রয়লারের দাম বেড়েছে ৬০-৭০ টাকা। দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সরজমিনে সুনামগঞ্জের একাধিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকায়। পনের দিন আগে দাম ছিল ২১০-২২০ টাকা। একইভাবে সোনালি মুরগি ৩৫০-৩৭০ টাকা, দেশী মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা ও লেয়ার মুরগি ৭০০-৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও দেশী হাঁস প্রতি পিস ৬০০ টাকা, চিনা হাঁস এক হাজার ২০০ টাকা, রাজাহাঁস এক হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা রিয়াজ আলী নামের এক ক্রেতা জানান,১৫ দিন আগে ২৩০ টাকা কেজিতে মুরগি কিনি। আজ দেখি ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের মুরগি কিনতে রোজা রেখে বাজারে এসেছিলাম। কিন্তু বাজারে মুরগির যে দাম তাই তেলাপিয়া মাছ কিনে বাড়ি যাচ্ছি।
করিম মিয়া নামের এক রিকশাচালক বলেন, রিকশা চালিয়ে কোনো রকম ৫০০ টাকা রোজগার করেছি। সেই টাকা দিয়ে মুরগি কিনতে বাজারে এসেছিলাম। কিন্তু বাজারে সব কিছুর দাম বেশি।
মুরগি ব্যবসায়ী আলেক মিয়া বলেন, প্রতি কেজি ব্রয়লার ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রয় করছি। তবে আরও দাম বাড়তে পারে। ফার্মের মালিকদের নিকট থেকে আমরা চাহিদা মতো ব্রয়লার পাচ্ছি না। দামটাও বেড়েছে। বেশি দাম দিয়ে কিনলে বেশি দামে বিক্রয় করতে হয়।
স্থানীয় পোল্ট্রি ফার্ম মালিক শাহ আলম বলেন, সোনালী, লেয়ার মুরগি এবং দেশী হাঁস-মুরগির দাম বেড়েছে। দাম বাড়লে বিক্রি কমে যায়। তবে মুরগির চাহিদা বেশি থাকায় বাজারে এসবের দাম বেশি।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল আমিন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও রমজানকে সামনে রেখে একটি চক্র দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। আমরা প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করছি। কেউ যদি বাজারে কোনো পণ্য সংকট তৈরি করে দাম বাড়ায় তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।