রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
সুনামগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের দুই কর্মী নিহতপাবনা ফরিদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল গ্রেপ্তারছাতকে দুর্গাপূজা উপলক্ষে মোটরসাইকেল শোডাউন ও পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে পুলিশজাগ্রতকণ্ঠ সমাজকল্যাণ সাংস্কৃতিক পরিষদ এর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সম্পন্ন হলো,দোয়ারাবাজারে জিনিয়াস-পাইলট একাডেমির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনজামালগঞ্জের ফেনারবাঁক ইউনিয়নে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে সভা অনুষ্ঠিত জাউয়া বাজারে হবে দৃষ্টিনন্দন যাত্রী ছাউনি, জায়গা নির্ধারণনাসিরনগরে আলম হত্যার রহস্য উন্মোচন, ছেলের হাতেই পিতা খুনছাতকে নিটল মোটরসের নির্মাণ কাজে চাঁদা দাবির অভিযোগছাতকে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কমিটি গঠন

কঠোর ইউএনও তরিকুল, ছাতকে কাঁপছে অবৈধ চক্র”

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ : শুক্রবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৫
  • ৮৭ বার পড়া হয়েছে

মোঃ তাজিদুল ইসলাম::

নদী ও পাহাড় বেষ্টিত সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলা একসময় ছিল প্রাকৃতিক সম্পদের অপার সম্ভাবনার ঠিকানা। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এখানকার নদী, বনভূমি ও জলাধারগুলোতে চলছিল অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন। শক্তিশালী চক্রের দৌরাত্ম্যে সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হলেও প্রতিবাদ করার সাহস পেত না কেউ।

কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। ২০২৪ সালের ১১ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেন। এরপর নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে একের পর এক অভিযান চালান।

স্থানীয়রা জানান, একসময় ছাতকের নদীপাড় ছিল ড্রেজার, বাল্কহেড ও স্টিলবডি নৌকার শব্দে মুখর। কিন্তু ইউএনওর কার্যকর পদক্ষেপে সেই চিত্র এখন বদলে গেছে। অবৈধ ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত তিনি ২৩২টি মামলা করেছেন। এর মধ্যে বালু-মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর অধীনে ১৫টি মামলায় ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় ও ৮ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কোটি টাকার ড্রেজার, বাল্কহেড ও নৌকা জব্দ করে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণেও বলিষ্ঠ অভিযান পরিচালনা করছেন ইউএনও তরিকুল ইসলাম। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ৬৪টি মামলায় ৬৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। ফলে এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের মধ্যেও তার নাম আতঙ্কের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

শুধু বালু-পাথর ও মাদক দমন নয়, ইউএনও নিয়মিত বাজার মনিটরিং, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এবং সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ অনুযায়ী মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। এতে সাধারণ মানুষের আস্থা বেড়েছে এবং প্রশাসনের প্রতি নতুন বিশ্বাস তৈরি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, “অ-অনুমোদিত ড্রেজার দিয়ে অ-ইজারাকৃত স্থান থেকে বালু উত্তোলন বা পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংস কোনোভাবেই ছাতকে করা যাবে না। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমাণ আদালত অব্যাহত থাকবে।”

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

এ ধরণের আরও সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা নিবন্ধন নাম্বার (মফস্বল -২০১) © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২০-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jp-b3b0bbe71a878d4c2656