সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকি। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার জুয়ার উঠেছে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকেরআবারও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে চান এড. আবুল হোসেন ১১ বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কাজ করেও স্বাস্থ্য সহকারী হতে পারেননি ২১ জন যুবক।তীব্র তাপদাহ: ঘাম, প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও ফসলের মাঠে কৃষকর কৃষাণী।জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।সুনামগঞ্জে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবীতে কর্মসূচী। গণধর্ষণের ধামাচাঁপা: কিশোরীকে ১১দিন পর উদ্ধার করেও হয়নি মামলা। কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ -!!সিলেট বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ ওসি ছাতক থানার শাহ আলম-!!

আজ বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা : মারমা ভাষায় ওয়াছো’

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১
  • ৫২৪ বার পড়া হয়েছে

 

আজ বৌদ্ধধর্মালম্বীদের শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা বা পার্বত্য চট্রগ্রাম পাহাড়ের বসবারত মারমাদের আজকের দিনটিকে মারমা ভাষায় ওয়াছো নামে সকলে কাছে পরিচিত। সকাল হতে বিহারে গিয়ে অবস্থানরত দায়ক ও দায়ীকারা সাদা পোষাক পড়ে অষ্টশীল পালন মধ্যে দিয়ে মারমাদের দিন শুরু হয়। এরপর গৌতম বৌদ্ধের প্রতি বুদ্ধ পূজা, ফুল পূজা,প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে থাকে। সকাল ৯ টায় মারমা সম্প্রদায়ের নর-নারীরা নতুন নতুন নিজের ঐতিহ্যবাহী থামী পোষাক পড়ে টিফিন কেরি ভাত হাতে নিয়ে বিহারে সারিবদ্ধ যেতে দেখা যায়। ঐ টিফিন কেরি ভাত গুলি প্রথমে গৌতম বুদ্ধ কাছে পূঁজা করি। তারপর বিহারধ্যক্ষ গুরু ভান্তে নিকট দুপুরে খাবার দান করে আশীর্বাদ গ্রহণ করে নেয়, বিহারে বিহারধ্যক্ষ পূজনীয় ভান্তেরা এই দিন হতে তিন মাস বর্ষবাস পালনে শুরু। বিহার ভান্তেকে এই তিন মাস কোন বিহারে গিয়ে রাত যাপন অবস্থান হতে বিরত থাকতে হয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত সকল মারমা সম্প্রদায়ের গোষ্ঠীরা ।এ আষাঢ়ী পূর্ণিমা উৎসব বা মারমা সাক্রই ২৫৬৫ বুদ্ধাব্দ।
আবার বিকাল তিনটায় সকলে নারী ও পুরুষরা সারিবদ্ধ ভাবে বিহারে গিয়ে গৌতম বুদ্ধ কাছে পঞ্চশীল অষ্টশীল গ্রহণ করে থাকে। এই আষাড়ী পূর্ণিমা উৎসব ধর্মীয় পালনে মধ্যে দিয়ে জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষরাও শান্তি সমৃদ্ধি বসবাস করতে পারি প্রার্থণা করে থাকে। মারমা সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ধর্মের রীতিমতো কেউ কেউ তিনমাস কোন মাংস খাবার হতে বিরত রাখে। অনেকে তিনমাস নিরামিষ শাকসবজি খেয়ে জীবন ধারন করছে। বৌদ্ধ ধর্মের ত্যাগের প্রকৃত মহা সুখ হিসেবে সকলে কাছে পরিচিত লাভ করছে। যে জীবনে যতদিন বেঁচে থাকব সে ততদিন সব কিছু ত্যাগ করতে পারে,তখন সে ধর্মের পরিপূর্ণ লাভ করবে কর্মে সুফল পেতে পারি। তাই সকল বৌদ্ধ মারমা সম্প্রদায়ের লোকরা অহিংসা পরম ধর্ম কে বিশ্বাস করি, এবং পাপকে ভয় করে পাপীকে নয়। মারমা সম্প্রদায়রা প্রতি বছর ওয়াছো উৎসব নিয়মিত পালন করে থাকি। মারমা সম্প্রদায়রা হাজার হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ ধর্মের অনুসারী ও পালন করছি। আজকের আষাড়ী পূর্ণিমা বা ওয়াছো উৎসব সকলে মারমা জাতি কাছে বড় মনে করি। সন্ধ্যায় বেলায় মারমা সম্প্রদায়ের বৌদ্ধ ধর্মের রীতিমত ফানুস উড়ে থাকে। সব্বে স ত্তা সুখিতা হোন্ত, জগৎতে সকল প্রাণী সুখী হউক।

আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধদের অন্যতম সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গৌতম বুদ্ধ যেমন নিজ প্রচেষ্টায় জীবনের পূর্ণতা সাধন করে মহাবোধি বা আলোকপ্রাপ্ত হয়েছিলেন এবং জগজ্জ্যোতি বুদ্ধত্বপ্রাপ্ত হন তেমনিভাবে পূর্ণ চন্দ্রের মতো নিজের জীবনকে ঋদ্ধ করাই প্রতিটি বৌদ্ধের প্রচেষ্টা। আষাঢ়ী পূর্ণিমা’র অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধরা এই প্রচেষ্টার প্রতি তাদের অঙ্গীকার নবায়ন করে থাকে। শুধু সাধারণ বৌদ্ধ নয়, ভিক্ষুদের জন্যও আষাঢ়ী পূর্ণিমা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। বৌদ্ধরা এদিনটিকে সচরাচর শুভ আষাঢ়ী পূর্ণিমা হিসেবে অভিহিত করে থাকে।
ভিক্ষুদের অন্যতম বাৎসরিক আচার বর্ষাবাস শুরু হয় আষাঢ়ী পূর্ণিমাতে; শেষ হয় আশ্বিনী পূর্ণিমাতে। বর্ষাকালে সিক্ত বসনে এদিক-ওদিক ঘোরা-ফেরা করা, বস্ত্র তুলে চলা-ফেরা করা মানায় না বিধায় যেখানে-সেখানে ভিক্ষুদের বাস না করে গৌতম বুদ্ধ বর্ষাবাস গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বৌদ্ধ বিনয় মতে যে ভিক্ষু বর্ষাবাস যাপন করেন তিনিই কঠিন চীবর লাভের যোগ্য হন। বর্ষাবাস যাপন ব্যতিরেকে চীবর লাভ করা যায় না। যে বিহারের ভিক্ষু বর্ষাবাস যাপন করবে না, সেই বিহারে কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানও করা যাবে না। বর্ষাবাসের জন্য ভিক্ষুরা সংঘারাম, বিহার ও সাধনাকেন্দ্র বেছে নেয়।

লেখকঃ চাইথোয়াইমং মারমা
জেলা প্রতিনিধিঃ রাংগামাটি হাওর বার্তা
সাধারণ সম্পাদক, রাজস্থলী প্রেস ক্লাব রাংগামাটি।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281