রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৫:৪৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
ছাতকে বালু সমিতির নেতৃত্বে সাত্তার-দিলোয়ার।ইউএসএ বাংলা আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন-২০২৪ সম্পন্ন।সুনামগঞ্জে রিক্সা চালক ও হতদরিদ্রদের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ।সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রবীণ নেতা ওয়াকিফুর রহমান আর নেই-!!ইউক্যালিপটাস গাছ পরিবেশের জন্য হুমকি। সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে জনপ্রিয়তার জুয়ার উঠেছে অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকেরআবারও ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হতে চান এড. আবুল হোসেন ১১ বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে কাজ করেও স্বাস্থ্য সহকারী হতে পারেননি ২১ জন যুবক।তীব্র তাপদাহ: ঘাম, প্রখর রোদ উপেক্ষা করেও ফসলের মাঠে কৃষকর কৃষাণী।জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদের ১৯তম মৃত্যু বার্ষিকী।

ডিমলায় তিস্তা চর অঞ্চলের কৃষকের স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৩৪ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি।

পূর্ব সর্তকতা জারি করা ছাড়াই হঠাৎ তিস্তার দু’কুল প্লাবিত। কার্তিকের শুষ্ক মৌসুমে ভারী বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে আকাশের ভারী বৃষ্টিতে তিস্তায় পানি হুহু করে বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে দেখা দিয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা।

এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পশ্চিম ছাতনাই, পূর্ব ছাতনাই, খগা খড়িবাড়ী, টেপা খড়িবাড়ী, ঝুনাগাছ চাপানী, খালিশা চাপানী ও আংশিক গয়াবাড়ী ইউনিয়নে হাজার হাজার একর ধান ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে এবং বাঁধ ভেঙ্গে রাস্তাঘাটের ক্ষতি হয়েছে।

বুধবার (২০ অক্টোবর ) ভোর থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে তিস্তারাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ি ছেড়ে পরিবার গুলো উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। কার্তিক মাসের শুষ্ক মৌসুমে হঠাৎ এমন বন্যা দেখেনি তিস্তাপারের চরবাসী। গতরাত থেকে বুঝে উঠার আগে ঘরবাড়ীগুলো হুহু করে পানি প্রবেশ করলে আতঙ্ক বিরাজ করে। বিকালে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫৩ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার। যা বিপদ সীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। গত আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে তিস্তা শুকিয়ে জেগে উঠেছিল চর। হঠাৎ তিস্তার পানিতে সব ডুবে গিয়ে তিস্তা ফিরে পেয়েছে নতুন যৌবন।

এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা প্রিন্স তিস্তা নদী ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে এই পরিস্থিতিতে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে তারপরও পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। তিস্তা এলাকার মানুষদের লাল সংকেত জারি করা হয়েছে এবং নিরাপদে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।

নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোঃ হাফিজুর রহমান চৌধুরী বন্যা এলাকা পরিদর্শন শেষে দূরগত মানুষদের জন্য ৪০ মেঃ টন চাউল ও ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেজবাহুর রহমান বলেন- নদীভাঙ্গা মানুষের জন্য শুকনো খাবার সহ গৃহহীন মানুষদের জন্য উচুঁ স্থানে তাবু টাঙ্গিয়া থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281