দক্ষিণ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের দরগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মনির উদ্দিনের বিরুদ্ধে রাস্তার বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর এক লিখিত অভিযোগ করেছেন একই ইউনিয়নের সিদখাই গ্রামের বাসিন্দা মনু মিয়া।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থ বছরের কাবিটা প্রকল্পের আওতায় ‘সিদখাই গ্রামের মনু মিয়ার বাড়ি হতে সিদখাই প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার কাজের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন। এর আগে চেয়ারম্যান বরাদ্দ আসলে টাকা দিয়ে দেবেন বলে এলাকা বাসীর মাধ্যমে কাজ করান তিনি। এলাকাবাসী ঘরপ্রতি চাঁদা সংগ্রহ করে মসজিদের ফান্ড থেকে টাকা ধার করে রাস্তার কাজ করান। এর ফাঁকে চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে আনেন। কিন্তু গ্রামবাসীর টাকা ফিরিয়ে দেননি।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে গেলে এলাকাবাসী জানান, মনু মিয়ার বাড়ির সামনের অংশ থেকে সিদখাই প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত ও মনু মিয়ার বাড়ির রাস্তা নির্মাণ করার দাবি করলে চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা আপনাদের টাকা দিয়ে রাস্তার কাজ করুন। বরাদ্দ আসলে টাকা দিয়ে দেবো। পরে আমরা শুনলাম চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন আমাদের এই প্রকল্প দেখিয়ে তিনি ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এই বরাদ্দের একটি টাকাও আমরা পাইনি।
শ্রীরামপুর নতুন মসজিদের মাতোয়ালি ফিরুজ আলী, সিদখাই জামে মসজিদের মতোয়াল্লি কদ্দুছ আলী, দিলাল আহমেদ ও তেরাব আলী বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের বলেছেন আমাদের গ্রামের টাকা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করার জন্য। পরে বরাদ্দ আসলে টাকা দিয়ে দেবেন। কিন্তু রাস্তার কাজ দেখিয়ে বরাদ্দের টাকা তুললেও আমাদেরকে একটি টাকাও দেননি।
মনু মিয়া ও জুয়েল আহমদ বলেন, আমাদের বাড়ির রাস্তা দিয়ে গ্রামের সব মানুষ চলাচল করেন। চেয়ারম্যানের কথায় ঋণ করে টাকা এনে রাস্তা নির্মাণ করেছি। এখন তিনি বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তবে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে দরগাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির উদ্দিন এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমার কাছে মনু মিয়াসহ তারা সকলেই রাস্তার ব্যপারে দাবি করেছিলেন। আমার উপর আনিত অভিযোগ সব মিথ্যা।’
তিনি বলেন- ‘আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি প্রকল্প এনে সমুজ আলী মেম্বারকে পিআইসি সভাপতি করে বরাদ্দ দিয়েছি। আমার জানা মতে, সমুজ আলী মেম্বার তাদেরকে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা দিয়েছেনও। আমার কাছে প্রমাণাদিও রয়েছে।’
এ ব্যাপারে ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সমুজ আলী বলেন, আমি মনু মিয়াকে ১ লক্ষ ৮৩ হাজার টাকা দিয়েছি। এই অভিযোগ মিথ্যা-বানোয়াট।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার সত্যতা জানতে সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: মো. শহিদ মিয়া