রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

উখিয়াতে অপরূপ সৌন্দর্যে লাল শাপলা ফুলের সমাহার

শাহেদ হোসাইন মুবিন
  • সংবাদ প্রকাশ শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১
  • ৬৫০ বার পড়া হয়েছে
উখিয়া মাছকারিয়া ডেবা লাল শাপলার সমারহ যে কারো দৃষ্টি আকৃষ্ট করে তুলতে পারে 

উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা মাছকারিয়া ডেবার সৌন্দর্য বর্তমানে বাড়িয়ে দিয়েছে লাল শাপলা। পরিকল্পনা গ্রহণ করে মাছকারিয়া ডেবা কে একটি পর্যটন এলাকায় রুপান্তরিত করা যেতে পারে। উক্ত এলাকার খাল-বিলগুলো এখন প্রায় শাপলা শালুকে পরিপূর্ণ। এবং বিভিন্ন মৌসুমি পাখি মাছকারিয়া ডেবায় বিচরন করতে দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। লাল সাদা শাপলার অপরূপ সৌন্দর্যের সমারোহ দেখা যাচ্ছে এই ডেবায়।নিজ হাতে শাপলা উঠাতে হানা দেয় ডেবায় দূর-দূরান্ত থেকে আশা দর্শনার্থীরা ।

অপরূপ বৈচিত্রের লীলাভূমি আমাদের এই বাংলাদেশ। বিভিন্ন ধরনের ফুলে ফলে সৌন্দর্য্য বাংলার বৈচিত্র্যময়তাকে আরও বেশি সমৃদ্ধ করেছে। বিভিন্ন রকম ফুলের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুলের স্বীকৃতি নিয়ে ‘শাপলা’ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়, শ্রীলংকার জাতীয় ফুলও এই শাপলা। শ্রীলংকায় শাপলাকে নীল-মাহানেল বলে ডাকা হয়। ইংরেজিতে শাপলা বলা হয় Water lily যার বৈজ্ঞানিক নাম Nymphea nouchali.

ষড় ঋতুর বাংলাদেশে বর্ষাকাল অন্যতম। এ সময় নদী-নালা, খাল-বিল, হাওড় ও দিঘি পানিতে থাকে পরিপূর্ণ।

আর সেসব জায়গায় ফোটে নানা রকম ফুল। এগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় ফুল শাপলা অন্যতম।

শাপলা ফুল ভোর বেলা ফোটে এবং দিনের আলো বাড়ার সাথে সাথে পাঁপড়ি বুজে যায়। সরাসরি কাণ্ড ও মূলের সাথে যুক্ত থাকে ফুল।

শাপলার পাতা আর ফুলের কাণ্ড পানির নিচে মূলের সাথে যুক্ত থাকে। আর এই মূল যুক্ত থাকে মাটির সঙ্গে এবং পাতা পানির উপর ভেসে থাকে।

মূল থেকেই নতুন পাতা জন্ম নেয়। পাতাগুলো গোল এবং সবুজ রঙের হয়, কিন্তু নিচের দিকে কালো রঙ। ভাসমান পাতাগুলোর চারদিক ধারালো হয়। শাপলা ফুল নানা রংয়ের দেখা যায়। সাদা শাপলা দেশের জাতীয় ফুল। তবে উখিয়া মাছকারিয়ার ডেবায় লাল শাপলার এক বিশাল সমাহার।

উল্লেখ যে মাছকারিয়ার ডেবা নাম করণ প্রাচীন যোগ থেকে মাছের ঘনি ( মাছের হাইজ্যা ) থাকায় একাধিক এলাকার মানুষ মাছ শিকারে আসতেন। সে থেকেই ডেবাটি মানুষের মুখে মুখে মাছকারিয়া ডেবা নামে পরিচিত লাভ করে।

ফলিয়া পাড়া এলাকার সোহেল বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে লাল শাপলা ফুল দেখতে চলে আসি এখানে। জায়গাটিকে অনেকেই শাপলা বিল বলে চিনলেও এই জায়গাটির নাম মাঝকারিয়ার ডেবা। বর্ষা মৌসুমে যখন লাল শাপলা ফুল ফোটে, তখন বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে এই লাল শাপলা ফুল দেখতে। মাঝকারিয়া ডেবায় তিন ধরনের শাপলা ফুল দেখতে পাওয়া যায়। আর সেগুলো হচ্ছে লাল, সাদা ও বেগুনি রঙের শাপলা ফুল। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিলে শাপলা ফুলের দেখা মিলে। আর এই ফুলের সৌন্দর্য দেখতে হলে খুব সকাল সকাল আসতে হয়। সূর্য উঠার পরে ফুলের সৌন্দর্য অতটা আর পাওয়া যায় না।

স্থানীয় দর্শনার্থী জাহিদুর রহমান বলেন , প্রচারের অভাবে এমন সুন্দর্য দেখতে দর্শনার্থীরা আসতে পারছেন না। আমরা কিছুদিন আগেও এসেছিলাম। আবারো আসলাম খুব অসাধারণ একটা জায়গা সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

করিম মিয়া বলেন, সকালে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে অনেক মানুষ এখানে আসে। হাটু পানিতে নেমে তুলে নেয় লাল সাদা শাপলা ফুল। আবার শিশুরা শাপলা ফুলের ডগা দিয়ে তৈরি করে গলার মালা।

ফুল হাতে এক শিশু বলে, সকালে আমরা এখানে লাল শাপলা তুলতে আসি। আমরা ফুল তুলি। ফুল তুলতে অনেক মজা হয়।

উদ্ভিদবীদদের মতে, বেশির ভাগ ডেবা খাল বিল,জলাশয়ে পানি না থাকায় দিন দিন অস্বিস্ত সংকটে পড়েছে লাল শাপলার মত অনেক জলজ উদ্ভিদ।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। নিবন্ধন নাম্বার (মফস্বল -২০১) © All rights reserved © 2018-2025 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281