শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
শান্তিগঞ্জের ঠাকুরভোগে বিএনপির কর্মীসভাশান্তিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেনে ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানকমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করা হবে -মিজানুর রহমান চৌধুরীশান্তিগঞ্জে দুই দিনব্যাপী নিউট্রিশন সেলস এজেন্ট ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ট্রেনিং শুরুশান্তিগঞ্জ থানার উদ্যোগে সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিতশান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মহিমের মৃত্যুবাষিকীতে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল শান্তিগঞ্জে নদীগর্ভে বিলীন পাকা সড়ক, হুমকির মুখে ২ শতাধিক পরিবারশান্তিগঞ্জে সুন্দর আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্নশান্তিগঞ্জে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস উদযাপনশান্তিগঞ্জে জামায়াতের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন

একনজরে টাঙ্গুয়া হাওর

তানভীর আহমেদ
  • সংবাদ প্রকাশ রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৮৪৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রুপ জলমহালগুলোর মধ্যে টাঙ্গুয়া হাওর অন্যতম।দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায় অবস্থিত।উক্ত হাওরটি জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ মিঠা পানির বাংলাদেশের ২য় রামসার সাইট এলাকা। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাংগুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম। বর্তমানে মোট জলমহাল সংখ্যা ৫১টি এবং মোট আয়তন ৬,৯১২.২০ একর। তবে নলখাগড়া বন, হিজল করচ বনসহ বর্ষাকালে সমগ্র হাওরটির আয়তন দাড়ায় প্রায় ২০.০০০ একর। টাংগুয়ার হাওর প্রকৃতির অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়। এটি একটি মাদার ফিশারী। হিজল করচের দৃষ্টি নন্দন সারি এ হাওরকে করেছে মোহনীয়। এ ছাড়াও নলখাগড়া, দুধিলতা, নীল শাপলা, পানিফল, শোলা, হেলঞ্চা, শতমূলি, শীতলপাটি, স্বর্ণলতা, বনতুলসী ইত্যাদি সহ দু’শ প্রজাতিরও বেশী গাছগাছালী রয়েছে এ প্রতিবেশ অঞ্চলে। জেলা প্রশাসনের কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বর্তমানে এ হাওরে রয়েছে ছোট বড় ১৪১ প্রজাতির ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটি এবং ২১ প্রজাতির সাপ।নলখাগড়া বন বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। শীত মৌসুমে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ব্যাপক পাখির আগমন ও অবস্থানে মুখরিত হয় টাঙ্গুয়ার হাওর। বিলুপ্ত প্রায় প্যালাসেস ঈগল, বৃহদাকার গ্রে-কিংষ্টর্ক, শকুন এবং বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখি ছিল টাঙ্গুয়ার হাওরের অবিস্মরণীয় দৃশ্য। স্থানীয় জাতের পাখি পানকৌড়ি, কালেম, বৈদর, ডাহুক নানা প্রকার বালিহাঁস, গাংচিল, বক, সারস প্রভৃতির সমাহারও  বিস্ময়কর। সাধারণ হিসাবে বিগত শীত মৌসুমের প্রতিটিতে ২০/২৫ লক্ষ পাখি টাঙ্গুয়ার হাওরে ছিল বলে অনুমান করা হয়। কোন কোন স্থানে  কিলোমিটারের বেশী এলাকা জুড়ে শুধু পাখিদের ভেসে থাকতে দেখা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ-পাখী এবং উদ্ভিদের পরস্পর নির্ভরশীল এক অনন্য ইকোসিস্টেম। মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281