রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ
ভালোবাসায় এমসি কলেজে’র সাবেক অধ্যক্ষকে রোভার স্কাউটদের বিদায়ী সংবর্ধনাকাচের গ্লাসের পানিতে হলুদ মেশানোর কারণ কী?বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদরে চায় দিরাইবাসীজামালগঞ্জে খাদিজাতুল কুবরা ট্রাস্টের নগদ অর্থ সহায়তাছাতকে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি সুনামগঞ্জে মেম্বার কাপ-২৫ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন মুগাইপাড় স্পোর্টিং ক্লাবগৃহবধূ রোকসানা হত্যা: দোয়ারাবাজারে ঘাতকের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধননতুন নেতৃত্বে শান্তিগঞ্জ কেমিস্ট সমিতি : সভাপতি নজরুল, সম্পাদক নাজমুলশান্তিগঞ্জে জয়কলস ইউনিয়ন বিএনপি’র কর্মীসভা সফল করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি সভাছাতকে বালু সিন্ডিকেটে ধাক্কা, যৌথ অভিযানে আটক ৭

একনজরে টাঙ্গুয়া হাওর

তানভীর আহমেদ
  • সংবাদ প্রকাশ : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৯২৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রুপ জলমহালগুলোর মধ্যে টাঙ্গুয়া হাওর অন্যতম।দেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলায় অবস্থিত।উক্ত হাওরটি জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ মিঠা পানির বাংলাদেশের ২য় রামসার সাইট এলাকা। ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাংগুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম। বর্তমানে মোট জলমহাল সংখ্যা ৫১টি এবং মোট আয়তন ৬,৯১২.২০ একর। তবে নলখাগড়া বন, হিজল করচ বনসহ বর্ষাকালে সমগ্র হাওরটির আয়তন দাড়ায় প্রায় ২০.০০০ একর। টাংগুয়ার হাওর প্রকৃতির অকৃপণ দানে সমৃদ্ধ। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়। এটি একটি মাদার ফিশারী। হিজল করচের দৃষ্টি নন্দন সারি এ হাওরকে করেছে মোহনীয়। এ ছাড়াও নলখাগড়া, দুধিলতা, নীল শাপলা, পানিফল, শোলা, হেলঞ্চা, শতমূলি, শীতলপাটি, স্বর্ণলতা, বনতুলসী ইত্যাদি সহ দু’শ প্রজাতিরও বেশী গাছগাছালী রয়েছে এ প্রতিবেশ অঞ্চলে। জেলা প্রশাসনের কার্যকর ও টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বর্তমানে এ হাওরে রয়েছে ছোট বড় ১৪১ প্রজাতির ২০৮ প্রজাতির পাখি, ১ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৬ প্রজাতির কচ্ছপ, ৭ প্রজাতির গিরগিটি এবং ২১ প্রজাতির সাপ।নলখাগড়া বন বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। শীত মৌসুমে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে ব্যাপক পাখির আগমন ও অবস্থানে মুখরিত হয় টাঙ্গুয়ার হাওর। বিলুপ্ত প্রায় প্যালাসেস ঈগল, বৃহদাকার গ্রে-কিংষ্টর্ক, শকুন এবং বিপুল সংখ্যক অতিথি পাখি ছিল টাঙ্গুয়ার হাওরের অবিস্মরণীয় দৃশ্য। স্থানীয় জাতের পাখি পানকৌড়ি, কালেম, বৈদর, ডাহুক নানা প্রকার বালিহাঁস, গাংচিল, বক, সারস প্রভৃতির সমাহারও  বিস্ময়কর। সাধারণ হিসাবে বিগত শীত মৌসুমের প্রতিটিতে ২০/২৫ লক্ষ পাখি টাঙ্গুয়ার হাওরে ছিল বলে অনুমান করা হয়। কোন কোন স্থানে  কিলোমিটারের বেশী এলাকা জুড়ে শুধু পাখিদের ভেসে থাকতে দেখা যায়। টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ-পাখী এবং উদ্ভিদের পরস্পর নির্ভরশীল এক অনন্য ইকোসিস্টেম। মাছের অভয়াশ্রম হিসাবে এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশী।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

এ ধরণের আরও সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা নিবন্ধন নাম্বার (মফস্বল -২০১) © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২০-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jp-b3b0bbe71a878d4c2656