শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় সম্মেলনে হাওর বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠনের দাবি।দূর্নীতির বিষবৃক্ষে জাতি দিশেহারা, মুখ বন্ধের শেষ কথায় ?সুনামগঞ্জের কুস্তি খেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনহজ্জের অন্তরালে অবৈধ ভাবে একাদিক বিয়ে করছেন আয়েশাছাতক-দোয়ারাবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুষ্টি গুণ বিস্কুট বিতরণ।শান্তিগঞ্জে নতুন করে যাত্রা শুরু করলো রুরাল ডেভেলপমেন্ট হেল্থ সেন্টার এন্ড ডায়াগনস্টিক।বিশ্বম্ভরপুর থানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার ও লাইব্রেরির উদ্ভোধন। ছাতকে শিক্ষানুরাগী নুর মোহাম্মদ ময়না মিয়া’র ইন্তেকাল।হাওড়ের নেই মাছ : ঋনের চাপে দিশেহারা জেলে।বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড.মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি অনলাইন ফোরামের উপদেষ্টা মনোনীত হলেন উম্মে ফারজানা ডায়না।

কক্সবাজার শহরে গত একমাসে ২২ ঘোড়ার মৃত্যু

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ রবিবার, ৩০ মে, ২০২১
  • ৬২৪ বার পড়া হয়েছে

সাজন বড়ুয়া সাজু
কক্সবাজার:

প্রয়োজন শেষ হলে কেউ কারও নই বলে একটা কথা খুব শোনা যায়।তেমনি এক উদাহরণ কক্সবাজার শহরের ঘোড়াগুলো।
যে ঘোড়াগুলো কক্সবাজার শহরকে সৌন্দর্যবৃদ্ধি ও পর্যটনখাতকে আরও উন্নত করত সে ঘোড়াগুলোর মৃত্যু হচ্ছে আজ অযত্নে,অবহেলায়, অমানবিকতায়।

একটি সমীকরণে দেখা যায়,কক্সবাজার শহরে গত ১ মাসে ৮১ টির মধ্যে ২২ টি ঘোড়া মারা গেছে।
জানা যায় শহরের যেসব ঘোড়াগুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন মালিকানাধীন এর মাধ্যমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট কিংবা বিভিন্ন জায়গায় টুরিস্টদের বিনোদনের বাহক হিসেবে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে অর্থের বিনিময়ে রোজগার করত বিভিন্ন ঘোড়া ব্যবসায়ীরা। তবে ঘোড়া গুলো একটু অবশ হলে কিংবা বয়স্ক হলে মালিকানাধীন ছেড়ে দেয় মালিকপক্ষ। যার ফলে আর মালিকানাহীন ঘোড়া গুলো শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘোরে ঘোরে কোনোমতে চলত।
তবে দীর্ঘদিন লকডাউন হওয়ার ফলে শহরের হোটেল,রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধ থাকার ফলে ঘোড়াগুলো মারা যাচ্ছে অনাহারে, অযত্নে।
এই অবস্থায় বিভিন্ন ঘোড়ার মালিকের সাথে কথা বললে তারা জানায় লকডাউন হওয়ার ফলে শহরের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাদের আয় একদম নেই। যার কারনে নিজেরা দু-মুঠো ভাত খাবার খাওয়ার জন্য হিমসিম খাচ্ছে সেখানে ঘোড়াগুলোর খাবার জোটানো খুব কঠিন।তাই ঘোড়াগুলো কে অচল অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
ঘোড়া মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এর সাথে কথা বললে সে জানায় কক্সবাজারে দেশী-বিদেশী পর্যটক আসলে তাদের বিনোদনের জন্য টাকার বিনিময়ে ঘোড়াগুলোর পিঠে ছড়িয়ে ব্যবহার করা হত তবে লকডাউনে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিলে একের পর এক ঘোড়া মারা যাচ্ছে।তিনি আরও জানায় এই ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাহায্যের জন্য আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

এই ব্যাপারের কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটোকল শাখার ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘোড়ার এই করুণ অবস্থার কথা স্বীকার করে জানালেন ঘোড়ার জন্য খাদ্য সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের এবং খুব শিগ্রী সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলে জানান।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281