সাজন বড়ুয়া সাজু
কক্সবাজার:
প্রয়োজন শেষ হলে কেউ কারও নই বলে একটা কথা খুব শোনা যায়।তেমনি এক উদাহরণ কক্সবাজার শহরের ঘোড়াগুলো।
যে ঘোড়াগুলো কক্সবাজার শহরকে সৌন্দর্যবৃদ্ধি ও পর্যটনখাতকে আরও উন্নত করত সে ঘোড়াগুলোর মৃত্যু হচ্ছে আজ অযত্নে,অবহেলায়, অমানবিকতায়।
একটি সমীকরণে দেখা যায়,কক্সবাজার শহরে গত ১ মাসে ৮১ টির মধ্যে ২২ টি ঘোড়া মারা গেছে।
জানা যায় শহরের যেসব ঘোড়াগুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন মালিকানাধীন এর মাধ্যমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট কিংবা বিভিন্ন জায়গায় টুরিস্টদের বিনোদনের বাহক হিসেবে ঘোড়ার পিঠে চড়িয়ে অর্থের বিনিময়ে রোজগার করত বিভিন্ন ঘোড়া ব্যবসায়ীরা। তবে ঘোড়া গুলো একটু অবশ হলে কিংবা বয়স্ক হলে মালিকানাধীন ছেড়ে দেয় মালিকপক্ষ। যার ফলে আর মালিকানাহীন ঘোড়া গুলো শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ঘোরে ঘোরে কোনোমতে চলত।
তবে দীর্ঘদিন লকডাউন হওয়ার ফলে শহরের হোটেল,রেস্টুরেন্ট গুলো বন্ধ থাকার ফলে ঘোড়াগুলো মারা যাচ্ছে অনাহারে, অযত্নে।
এই অবস্থায় বিভিন্ন ঘোড়ার মালিকের সাথে কথা বললে তারা জানায় লকডাউন হওয়ার ফলে শহরের সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ থাকায় তাদের আয় একদম নেই। যার কারনে নিজেরা দু-মুঠো ভাত খাবার খাওয়ার জন্য হিমসিম খাচ্ছে সেখানে ঘোড়াগুলোর খাবার জোটানো খুব কঠিন।তাই ঘোড়াগুলো কে অচল অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
ঘোড়া মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এর সাথে কথা বললে সে জানায় কক্সবাজারে দেশী-বিদেশী পর্যটক আসলে তাদের বিনোদনের জন্য টাকার বিনিময়ে ঘোড়াগুলোর পিঠে ছড়িয়ে ব্যবহার করা হত তবে লকডাউনে সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিলে একের পর এক ঘোড়া মারা যাচ্ছে।তিনি আরও জানায় এই ব্যাপারে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সাহায্যের জন্য আবেদন করলেও এখন পর্যন্ত কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।
এই ব্যাপারের কক্সবাজারের জেলা প্রশাসনের পর্যটন ও প্রটোকল শাখার ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘোড়ার এই করুণ অবস্থার কথা স্বীকার করে জানালেন ঘোড়ার জন্য খাদ্য সহায়তা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের এবং খুব শিগ্রী সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বলে জানান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া