নিজস্ব ডেস্ক:- জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবপুর (শাহপুর) এলাকায় শালা কর্তৃক দুলাভাইয়ের ৩৫ লক্ষ্য টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ ওঠেছে।
জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার কোনারাই গ্রামের মরহুম তহিরউল্লার ছেলে হানিফ মিয়ার সাথে ২০০১ সালে জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবপুর(শাহপুর) এলাকার মরহুম আব্দুল জব্বারের মেয়ে পারভীনের বিবাহ হয়। তাদের বিবাহের ১ বছর পরই ব্যবসায়ীক কাজের সুবিধার্তে হানিফ মিয়া তাহার স্ত্রীসহ তাহার শাশুড়বাড়ি চলে যান। সেই সুবাধে তাহার শালা শাহাদুল ইসলাম তাহাকে বসতঘর নির্মাণের জন্য জায়গা দিলে তিনি সেই জায়গার উপর সরল বিশ্বাসে প্রায় ১৭ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে একটি বসতঘর নির্মাণ করেন।
ভুক্তভোগী হানিফ মিয়া প্রতিবেদককে জানান, তিনি পেশায় একজন কাঠের ব্যবসায়ী সেই সুবাধে উনার ফার্নিচেয়ারের ব্যবসাও রয়েছে। তাহার ব্যবসায়ীক সুবিধাতে তিনি বিয়ের ১ বছর পরেই শশুড় বাড়ি চলে যান। সেই সুবাধে তাহার শালা শাহাদুল ইসলাম তাহাকে ঘর নির্মাণের জন্য জায়গা দিলে তিনি সরল বিশ্বাসে তাহার শালা শাহাদুল ইসলামের কথা মতো প্রায় ১৭ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে একটি বসতঘর নির্মান করেন যাহা তাহার শশুড়বাড়ির এলাকার সম্মানিত লোকজন জানেন। তাহার ঘর নিমার্ণের বছরখানিক পর হইতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তারিখে ধাপে ধাপে তাহার শালা শাহাদুল ইসলাম তাহার কাছ থেকে ধার হিসেবে ৩৫ লক্ষ্য টাকা নেয়। অদ্য তারিখ হইতে প্রায় আড়াই বছর আগে তাহার পাওনা টাকার জন্য তাহার শালা শাহাদুল ইসলামকে বলিলে তাহার শালা শাহাদুল ইসলাম এখন নয় তখন দিচ্ছি বলে এভাবে প্রায় ১ বছর অতিক্রম করে। একপর্যায়ে তিনি পাওনা টাকা পাওয়ার জন্য তাহার শশুড়বাড়ির এলাকার গন্যমান্য মুরব্বিয়ানগনকে বিষয়টি অবগত করলে এনিয়ে অনেকবার সালিশ বৈঠক হয়। সালিশ বৈঠকে তাহার শালা শাহাদুল ইসলাম তাহার কাছে পাওনা টাকার কথা স্বীক্ষার করে এবং টাকা পরিশোধ করার জন্য একাধিকবার সময় নিয়েও সে টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়। টাকা নিয়ে তাহার শালা শাহাদুল ইসলামের সাথে তাহার বিরোধ দেখা দিলে তাহার শালা শাহাদুল ইসলাম তার জায়গার উপর ১৭ লক্ষ্য টাকা ব্যয় করে নির্মাণ করা বসতঘর হইতে তাহাকে উচ্ছেদ করার জন্য সে মরিয়া হয়ে উঠে। পরবর্তীতে তাহার শালা শাহাদুল ইসলাম বিভিন্ন কায়দায় তাহাকে হয়রানি করতে এই পর্যন্ত ৪টি মিথ্যা মামলায় আসামী করেছে যা স্থানীয় লোকজন অবগত। এ পর্যন্ত বার বার তাহার শশুড়বাড়ির এলাকার গণ্যমান্য মুরব্বিয়ানগণ সালিশ বৈঠক করে তাহার শালা শাহাদুল ইসলামকে তাহার পাওনা টাকা ফেরত দিতে বললে সে আজ না কাল দিচ্ছি বলে তালবাহানা করতে শুরু করে। এভাবে দীর্ঘ আড়াই বছর অতিক্রম হলে তাহার শশুড়বাড়ির গন্যমান্য মুরব্বিয়ান তার শালা শাহাদুল ইসলামের উপর ক্ষীপ্ত হয়ে তাহাকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেন যা ওই এলাকায় খুঁজ খবর নিলে জানতে পারবেন। তিনি তাহার শালা শাহাদুল ইসলামের কাছ থেকে তাহার পাওনা টাকা উদ্বারের জন্য স্থানীয় থানায় তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে প্রতিবেদককে জানান।
সর্বশেষে তিনি, তাহার জীবনের শেষ সম্ভল তীলে তীলে অর্জিত ৩৫ লক্ষ্য টাকা গুলো উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতার নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া