ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ আদায় ও আত্মসাত এবং স্থানীয় একটি মসজিদের ইট বিনষ্টের অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী কার্ড প্রত্যাশীরা ও সংশ্লিষ্ট মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই ইউপি সদস্যের নাম মহারাজ মিয়া। তিনি উপজেলার সুখাইড় রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মাহমুদনগর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হককে বয়স্ক ভাতা, ফজলুল হককে প্রতিবন্ধী ভাতা, মিজানুর রহমান ও জ্যোৎসা আক্তারকে ভিজিডি কার্ড, ফেরদৌসা বেগমকে জন্ম নিবন্ধন কার্ড এবং আজহারুল ইসলামের পরিবারকে মাতৃত্ব ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য মহারাজ মিয়া ৩০ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করেছেন। এরই মধ্যে কয়েক বছর কেটে গেলেও ভূক্তভোগী কাউকেই কোনো সুযোগ করে দিতে পারেনি মহারাজ। এমনকি কারও টাকাও ফেরত দেয়নি। ভূক্তভোগীরা টাকা চাইতে গেলে তাদের হুমকি ধামকি এমনকি মামলার ভয় দেখায় মহারাজ। ফলে ভূক্তভোগীরা প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করেছেন।
অপরদিকে মাহমুদনগর গ্রাম জামে মসজিদের সভাপতি নুরুল ইসলামসহ মসজিদ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা তাদের অভিযোগে উল্লেখ করেন গেল ঈদুল আযহার দিন মহারাজ ও তার আত্মীয়স্বজন প্রতিপক্ষের সাথে মারামারিতে জড়িয়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য মসজিদের সামনে রাখা মসজিদ উন্নয়নের ইট ভেঙে ঢিল ছুড়তে থাকে মহারাজ ও তার লোকেরা। এতে হাজার খানেক ইট বিনষ্ট হয়। পরবর্তীতে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ চাইতে গেলে মহারাজ তাদেরকে গালমন্দসহ মামলায় জড়ানোর হুমকি দেয়। ইউপি সদস্য মহারাজ মিয়া বলেন, ‘ভাতা দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। যারা এমন অভিযোগ করেছে তারা ওইদিন মারামারির মধ্যে ছিল। যারা মারামারি করেছে উভয়পক্ষই আমার আত্মীয়। আমি মারামারিতে ছিলাম না। মসজিদের ইট কে বা কারা নষ্ট করেছে জানিনা।’
ইউএনও মো. মুনতাসির হাসান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান