সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রিতম চৌধুরী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অন-লাইন পোর্টালে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও আপত্তিকর সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এক সাংবাদিক সম্মেলণ অনুষ্টিত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বাদশাগঞ্জ বাজারের একটি ব্যবসা প্রতিষ্টানে প্রিতম চৌধুরীর বাবা স্কুল শিক্ষক দানিসুর রহমান চৌধুরী তাঁর ছেলের পক্ষে এ সাংবাদিক সম্মেলণের আয়োজন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলণে শিক্ষক দানিসুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমার বাড়ি উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়ারচাপুর গ্রামে। আমি বর্তমানে ধুবালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালণ করে আসছি। আমার ছেলে প্রিতম চৌধুরী সেও বর্তমানে বাদশাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজে স্মাতক ১ম বর্ষের ছাত্র। অন্যদিকে আমাদের একই গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা স্বেচ্চাসেবকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি এমএমএ রেজা পহেল তিনি গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনে আমরা তাঁর বিরোধীতা করায় তখন থেকেই তিনি আমিসহ আমার ছেলে ও আত্মীয়-স্বজনদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এছাড়াও তিনি দলীয় প্রভাব দেখিয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি করাসহ এলাকার সাধারন লোকজনদেরকে নানাভাবে হয়রানি করে আসছেন। এমনকি তিনি গত বছর দুয়েক আগে গৃহহীন ও ভুমিহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরের তালিকায় তাঁর মায়ের নামে একটি ঘর বরাদ্দ নেন। কিন্তু সুচথুর ওই নেতা সরকারি ঘরের নকশা পরিবর্তন করে নিজের ইচ্ছেমতো উপহারের ঘরটি নির্মাণ করে সেখানে তিনি পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। আর এ অনিয়মের বিষয়টি জানাজানি হলে তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। পরে চলতি মাসের প্রথম দিকে তাঁর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার ছেলে প্রিতম চৌধুরী বাদি হয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে এবং তা নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় সংবাদও প্রকাশ হয়। এতে করে ওই স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা এমএমএ রেজা পহেল আমার ছেলে প্রীতম চৌধুরীর উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমার ছেলে অসম্মান করে তার ফেসবুকে নাকি কবে একটি কমেন্ট দিয়েছিল। আর এখন প্রায় ১ বছর পর তিনি তাঁর দূর্নীতির অভিযোগটি ধামচাপা দেওয়ার জন্য তিনি আমার ছেলে প্রিতম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পাল্টা একটি মিথ্যা অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দায়ের করেন। পাশাপাশি এ নিয়ে তিনি আমার ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ করান। যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত। তাই আমি আজ এই সংবাদ সম্মেলণের মাধ্যম্যে আমার ছেলের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা অভিযোগ ও প্রকাশিত মিথ্যা-বানোয়াট সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
শিক্ষক দানিসুর রহমান চৌধুরী আরো বলেন, প্রভাবশালী স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা এমএমএ রেজা পহেল একের পর এক আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। আমিসহ আমার পরিবারকে সে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন। তাই আমিসহ আমার পরিবার তাঁর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা এমএমএ রেজা পহেলের সাথে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি ফোনটি ধরেননি।##
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া