চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান
মাতারবাড়ীর ব্যস্ততম এই সড়কে প্রতি মিনিটেই যাওয়া ও আসা করে বিভিন্ন যানবাহন। কিন্তু সড়কই যখন মরণ ফাঁদ হয় তখন চালক, যাত্রী ও পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। এমনকি যেকোনো সময় দুর্ঘটনার চিন্তা মাথায় নিয়ে ওই সড়কে চলতে হয়।
এতে দিনের বেলায় কম হলেও রাতে সড়কটি মরণকূপে পরিণত হয়। আর নতুন চালকদের জন্য দিনের বেলাও সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ। বলছিলাম সিএনজি স্টেশন টু সর্দার পাড়া যাওয়ার প্রধান সড়কের কথা।
আজ শুক্রবার (২৫ জুন) বিকাল বেলায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সড়কটি প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে বেশ ঝুঁকির মধ্যেদিয়ে এ সড়কে চলাচল করছে যানবাহন।
স্থানীয় বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, এ সড়ক দিয়ে যেতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় রোগী, নারী ও শিশুদের। অনেক সুস্থ মানুষও প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রধান সড়ক হওয়া সত্ত্বেও দিনের পর দিন এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। দির্ঘ্যদিন ধরে সড়কটি জরুরি সংস্কারের অভাবে প্রায় ডোবায় পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, এমনিতেই সড়কটি বড় বড় খানাখন্দে ভরে গেছে। এর মধ্যে প্রতিদিন মালবোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে খানাখন্দ গুলো বৃহৎ আকারে পরিণত হচ্ছে। একেকটি খানাখন্দ রীতিমতো ছোটখাটো ডোবায় রূপ পেয়েছে। বৃষ্টিপাতের মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় এখন সড়কে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায়।চলাচলে যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সে জন্য সড়কটি দ্রুত সংস্কারের করতে মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান এলাকাবাসী।
চেয়ারম্যান মাষ্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প হওয়ার সুবাদে বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় প্রকল্পের ভারি যানবাহন এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে। এ কারনে সড়কে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, সড়কটি দ্রুত সংস্কারের করতে কোল-পাওয়ার কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান তিনি ।
মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে জানান, ইতিমধ্যে আমরা মাতারবাড়ীর সড়ক গুলো পরিদর্শন করেছি। খুব ভয়াবহ অবস্থা মাতারবাড়ী সড়কের। যেই স্থান গুলোতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সে সব গর্ত গুলো ভরাট করে দ্রুত যান চলাচল উপযোগী করা হবে। সড়কটি সম্পুর্ণ সংস্কার করতে হলে বর্ষার আগে করা যাবে না বলেও জানান তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া