রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি
রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলা ৩ নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্য সাপ্তাহিক মঙ্গলবার বাঙ্গালহালিয়া হাট-বাজার( ৬ ইং জুলাই) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যাচ্ছে, ক্রেতা ও বিক্রেতা তেমন দেখা যায় না। আজ ষষ্ঠ দিনের লকডাউন অতিবাহিত চলেছে এখানে দেখা যাচ্ছে, যারা সাধারণত জরুরী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করতে হাট-বাজারে আসে ক্রেতা দেরকে চোখে পড়ে। বিগত ১জুলাই থেকে ১৪ জুলাই একটানা ১৪দিন পর্যন্ত সারাদেশব্যাপী কঠোর লকডাউন বিধি নিষেধ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করেন। কারণ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস রোগ প্রাদুর্ভাব সারাদেশের লাফিয়ে লাফিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই করোনা রোগের মৃত্যু হার নিয়ন্ত্রণের ও কোন রোগে মৃত্যুর হার প্রতিরোধ জন্য সারাদেশব্যাপী কঠোর লকডাউন চলছে। এতে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সারাদেশের মাঠে ঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ বিজিবি সেনা বাহিনী আনসার সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত। অযথা অপ্রয়োজনীয়’ কাজে যে কোন স্থানের সাধারণ লোক ঘুরে ফেরা করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাধ্যমে জেল জরিমানা বিধি-বিধান রয়েছে। তাই অপ্রয়োজন ছাড়া কোথায় ও ঘুরে ফেরা করবেন না। এতে চন্দ্রঘোনা রাজস্থলী রোড ওবান্দরবান রোডের প্রবেশমুখে সাধারণত কিছু সীমিত আকারে ব্যক্তিগত মোটরবাইক ও অটোরিকশা সহ মালবাহী মিনি ট্রাক বড়ট্রাক চলতে দেখা যায়। আজকের বিভিন্ন প্রবেশপথ সড়কমুখে চন্দ্রঘোনা থানায় ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী নেতৃত্বে পুলিশ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাংগালহালিয়া হাট বাজারে অলি-গলি সহ মেইন সড়কে কেউ কেউ সাধারণ লোকদেরকে জিজ্ঞেস করছে, কেন কি কাজে বাজারে আসছে, এবং টহল পুলিশের জোরদার রয়েছে। পুলিশের সুত্রে জানা যায়,করোনা ভাইরাস রোগের নিয়ন্ত্রণে জন্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ বাহিনী সব সময় করোনা রোগ প্রতিরোধের সাধারণত জনগনের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ ওসচেতনতা বৃদ্ধি হ্যা ন্ড মাইকিং মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাই পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমে ভুমিকা অপরিসীম। প্রসঙ্গত,বাজারে ঘুরে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন শাকসবজি পণ্য দাম স্বাভাবিক রয়েছে বলে এক পাইকারি ব্যবসায়ী জানান।তিনি বলেন,লগডাউনের জন্য ক্রেতা ঠিক মত না আসা কিনা দামে বিক্রি করছি। অন্যান্য খাবার চা দোকান ফাস্ট ফুড দোকান মুডি দোকান, সিমেন্ট হার্ডওয়ার দোকান,ফার্মেসি দোকান রাইচমিল কল ইলেকট্রনিকস দোকান খোলা রয়েছে। একদিকে বর্তমানে পাহাড়ের করোনা রোগী লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে,রাজস্থলী উপজেলাতে দুর্গম পাহাড়ের এলাকায় গ্রামে ছাইংখ্যইং পাড়া নামক পুরো গ্রামকে লাল চিহ্ন দেয় উপজেলা প্রশাসন। সেখানে লকডাউন থাকা ৩৭পরিবারকে উপজেলা প্রশাসন পক্ষে সহায়তা থেকে বিভিন্ন খাদ্যের সামগ্রিক নিয়ে ইউএনও শেখ ছাদেক আহমেদ সরেজমিনে গ্রামে গিয়ে এসব খাদ্যের পরিবার মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। সে গ্রামে ৮ জন করোনা সনাক্ত ধরা পড়ে। অন্যদিকে রাজস্থলীতে পাহাড়ের বসবারত বিভিন্ন নৃ- জনগোষ্ঠী সম্প্রদায় রা নিম্ন ও মধ্যে বিক্ত পরিবাররা ও এখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে কোন কাজ নেই আয়ের উৎস কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়ের উৎপাদন শস্য বনজ ফলজ জিনিস গুলি ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারছেনা, করোনা প্রাদুর্ভাব ম ন্ডব ও লকডাউন কারণে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারী ক্রেতা না আসা বিভিন্ন বনজ ফলজ নস্ট হয় বলে এক কৃষক জানিয়েছেন। এখন ক্রেতা শূণ্যে কোথায় গিয়ে বিক্রি করব। পাহাড়ের বেশির ভাগ নৃগোষ্ঠী রা সম্প্রদায় রা কৃষি উপর নির্ভরশীল আয় পরিবার চলে। সন্তান দের লেখা পড়া ভরন খরচাবলী ও কৃষি উপর নির্ভর করছে।বৈ শ্বিক করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি কারণে কেউ কেউ দুর্গম এলাকায় বসবাসরত গ্রামে পরিবার নৃগোষ্ঠী রা তিন বেলায় খাবার জোগার করতে কস্টের জীবন হিমসিম যা অজানা বাইরে। নাম অজানা অনেক সূদুর পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় পাড়া বসবাসরত জনগোষ্ঠী পরিবার কর্মহীন মানুষ রা জীবন কে কেমন চলছে, আমরা কি খবর রাখছি। একদিকে করোনা ভাইরাস রোগী বাড়ছে অন্যদিকে তিন বেলায় খাবারের জোগারে কত যে সংগ্রাম করে যাচ্ছি। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিক্তবান লোকরা সাহায্য সহযোগিতা এগিয়ে আসুন। আমরা সকলে জীবনে বাঁচতে চাই। করোনা মুক্ত দেশ হোক, খাদ্যের সংকট নিরসন হোক এটা সকলের কাছে প্রত্যাশায় কামনা করি।করোনা রোগ সচেতন হোন, করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন। নিয়মিত মাস্ক পড়ুন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া