বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন

সাতক্ষীরা তালায় সার্জিক্যাল ক্নিনিক প্রদত্ব জ্বাল রিপোর্টের মামলায় নি:স্ব ২টি পরিবার,,হাওড় বার্তা 

বি এম বাবলুর রহমান
  • সংবাদ প্রকাশ সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২১
  • ৬৬৩ বার পড়া হয়েছে

সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি

-সাতক্ষীরা হাসপাতাল-ক্লিনিক হলো রোগক্রান্ত ব্যক্তির সুস্থ্য করার জন্য বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান। আর সেই বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান যদি অনিয়ম-দূর্ণীতির মধ্য গড়ে উঠে তাহলে সেবা নিতে আসা রোগক্রান্ত ব্যাক্তিরা পড়েন বিপাকে।

এমনি অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক নামক প্রতিষ্ঠানে। কতৃপক্ষের সঠিক নজরদারি না থাকার কারনে অনায়াসে চলছে ক্লিনিকটি। ক্লিনিকটির মূলহোতা কথিত ডাক্তার বিধান সরকারী হাসপাতালের করোনা চিকিৎসা সুরক্ষা উপকরণ আত্নসা সহ জ্বাল রিপোর্ট প্রদান করে অসহায় সাধারণ মানুষের মিথ্যা মামলায় ঢুকিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেন না।
এমনি একটি অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়,ডুমুরিয়া উপজেলার দক্ষিণ আরশনগর গ্রামের হাচিম আলী জর্দ্দারের কন্যা হালিমা বেগম(৩৮) ২০২০ সালের মার্চ মাসের ৯ তারিখ আদালতে মামলা দায়ের করেন তালা উপজেলার বারুইহাটি গ্রামের মুমনি আলী মোড়লের ছেলে আবুল হোসেন মোড়ল,গনি মোড়ল ও মৃত সুরোত মোড়লের ছেলে আ: রহমান মোড়েল বিরুদ্ধে। যাহার সিআর মামলা নং-৪০/২০(তালা) ধারা৩১৩/৫০৬(২য় অনু)দা:বি:। মামলাই উল্লেখ করেন হালিমা নাকি ৪ মাসের অন্তসত্বা ছিলেন। আবার সেখানে লেখেন তখন সে নিজের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেছিলো। যাহা নিয়ে বিভিন্ন ধুব্রজ্বাল সৃষ্টি হয়।
এদিকে মামলাটিকে আরো শক্ত করতে তালার চিকিৎসা খাতে অপকর্মের হোতা সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক কথিত ডাক্তার বিধান একটি অন্তসত্বার রিপোর্ট বাহির করে দেন। সে রিপোর্টে কথিত ডাক্তার বিধান তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.রাজিব সরদারের স্বাক্ষর জ্বাল করেন। তাহার প্রমাণ ডা. রাজিব তাহার লিখিত জবানবন্দীতে আদালতে জানিয়ে দিয়েছেন যে,উক্ত স্বাক্ষর আমার নহে।
এছাড়া আল্ট্রাসনো করার পরে হালিমা অবৈধ উপায়ে কথিত ডাক্তার বিধানের মাধ্যমে গর্ভপাত করান বলে মামলায় মিথ্যা অভিযোগ উল্লেখ করেন। হালিমা বেগমের এহন সাজানো কর্মকান্ড আরও বেগবান করতে অর্থের বিনিময়ে সর্বাত্নক সহযোগিতা করেন কথিত ডাক্তার বিধান।
সম্প্রতি গত ২০ মার্চ শিলা খাতুন নামে সিজারিয়ান রোগীকে অক্সিজেন ছাড়াই সিজার সম্পন্ন করেন তারা। এতে মা-নবজাতক দুজনের অবস্থাই শংকার মধ্যে পড়ে।এক পর্যায়ে ২২ মার্চ সকালে নবজাতকের অবস্থা শংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে রেফার করেন। ২৩ মার্চ শিশুটির প্রয়োজনে সেখানকার ডাক্তাররা তার মাকে খুলনায় নেওয়ার নির্দেশ দিলে বিষয়টি তালা সার্জিক্যাল ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে বেকে বসেছেন কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, চুক্তির বাইরে মোট ১১ হাজার টাকা না দিলে রোগী ছাড়বেননা তারা।
প্রসঙ্গত,শিলার সিজারে ওটি ঔষধ কেবিনসহ চুক্তি ছিল ৯ হাজার টাকা দিতে হবে। তবে বর্তমানে তারা দাবি করছেন,১১ হাজার টাকা।
উপরক্ত মামলার আল্ট্রসোনোর রিপোর্টে সময় দেওয়া আছে ১.৩০ মিনিট। একজন সরকারী ডাক্তার কিভাবে অফিস চলাকালীন সময় বে-সরকারী ক্লিনিকে রিপোর্ট দিল এবং অপকর্মের হোতা কথিত ডাক্তার বিধানের খুঁটির জোর কোথায় প্রশ্ন জনমনে!
জ¦াল স্বাক্ষরের ও রিপোর্টের কারনে ভ্রুণ হত্যা মামলায় ফেঁসে যাওয়া আবুল,গনি,আ: রহমান বলেন, কথিত ডাক্তার নামক কসাই বিধানের এর সাথে আতাঁত করে হালিমা আমাদের নামে হত্যা মামলা দায়েরে করেছেন। তাদের এই জ্বাল স্বাক্ষরকৃত রিপোর্টের কারনে আমাদের দুটি পরিবার আদালতের দোড়গোড়ায় ঘুরতে ঘুরতে নি:স্ব হতে চলেছি। আমরা ওই কথিত ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সার্জিক্যাল ক্লিনিকের কথিত ডাক্তার বিধানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি জরুরী অপারেশনে আছি পরে কথা বলেন বলে সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।
সার্জিক্যাল ক্লিনিকের মালিক বিধান এমন ভাবে অর্থের বিনিময়ে সাধারণ মানুষের হয়রানী করার জন্য প্রতিনিয়ত এহন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাহার এই জ্বাল স্বাক্ষর ও মিথ্যা রিপোর্টের কারনে ২ টি পরিবার ভ্রুণ হত্যা মামলার আসামী হয়ে নি:স্ব হতে চলেছে। এবং ভূল চিকিৎসার কারনে পঙ্গুত্ববরন সহ অসহাত্বর মাঝে জীপন যাপন করছেন অনেকে তাহার সঠিক তথ্য নিয়ে আসছে পরবর্তী পর্বে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281