সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ধুপাজান চলতি নদীতে অভিযান চালিয়ে ৭টি বাল্কহেড নৌকা আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। ১৫মে রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সহিদুর রহমানের নির্দেশে পুলিশের এসআই জিন্নাতুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি সক্রিয় ফোর্স নদীতে সফল অভিযান চালিয়ে ৭টি বালু ভর্তি বাল্কহেড নৌকা আটক করেন। পরের দিন সকল নৌকা মালিকের তথ্য সংগ্রহ করে জব্দ তালিকা তৈরী করে ১৭ইমে সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের নিকট ঐ ৭টি নৌকা হস্তান্তর করা হলে প্রত্যেকটি নৌকার মালিককে ৪০হাজার টাকা করে ৭টি নৌকায় মোট ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় মোবাইলকোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত বলেন, আটককৃত ৭টি বাল্কহেড নৌকাকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আমি নিজে পাঁচটি বাল্কহেডকে জরিমানা করেছি। আমার সহকর্মী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও ২টিকে জরিমানা করেছেন।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: সহিদুর রহমান জানান ধুপাজান চলতি নদীতে পুলিশের চোখ ফাকিঁ দিয়ে ১৫মে রাতে কিছু অসাধু ব্যক্তিরা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ধুপাজান নদীতে অভিযান পরিচালনা করা হয় এবং গভীর রাতে বালু ভর্তি কয়েকটি নৌকা আটক করে পরদিন আটককৃত ৭টি নৌকা জব্দ তালিকা তৈরী করে ১৭মে মোবাইলকোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ২লক্ষ ৮০হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এবং ধুপাজান নদীর পরিবেশ রক্ষা করতে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলন বন্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এর আগে রোববার (১৬ মে) সুনামগঞ্জে ৭ বাল্কহেড জব্দ নিয়ে ‘লুকোচুরি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কম। ঐ নিউজে পুলিশের নৌকা নিয়ে লুকোচুরির অভিযোগ আনা হয়েছে? এই বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ প্রতিবেদককে বলেন। সাংবাদিকরা হচ্ছে জাতির আয়না, বিবেক, পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। ১৬মে একটি অনলাইন পোর্টালে পুলিশকে জড়িয়ে যে নিউজটি হয়েছে তা সঠিক নয়। সঠিক তথ্য জেনে সাংবাদিকরা নিউজ করবেন এটাই জাতি আশা করে। হয়ত ঐ সাংবাদিক ভাইয়ের বুঝতে ভুল হয়েছে। তিনি বলেন সংবাদ প্রকাশ করা সাংবাদিকের দায়িত্ব সত্য হউক আর মিথ্যেই হউক? তিনি আরও বলেন একজন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ফোন করে কয়টি নৌকা আটক করা হয়েছে জানতে চেয়েছিলেন কিন্তু সে সময় আমার কাছে জব্দকৃত নৌকার তালিকা ছিলনা। আমি বলে ছিলাম আমি বিষয়টি খোজঁনিয়ে দেখছি। কিন্তু সাংবাদিক ভাইদের বুঝা উচিৎ ছিল পুলিশ সদস্যরা যখন অভিযান পরিচালনা করে নৌকা আটক করেন। তখন একটি সঠিক জব্দ তালিকা তৈরি করতে একটু সময়ের প্রয়োজন হয়। তিনি বলেন পুলিশকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সেটি সত্য নয়। তিনি সঠিক তথ্য বিত্তিক সংবাদ প্রকাশের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া