প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৫, ২০২৪, ৫:২৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৫, ২০২১, ৭:৩৬ পি.এম
মোহনচূড়া — শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
---মোহনচূড়া--- শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
মোহনচূড়া পাখির পরিচিতি
মোহনচূড়া (Eurasian Hoopoe) বৈজ্ঞানিক নাম-Upupa epops বাংলাদেশের একটি বিরল পাখি। তবে এশিয়া ও ইউরোপে এটি প্রচুর দেখা যায় এবং এটি বিলুপ্তির শংকামুক্ত। এর অন্যান্য নাম হুদহুদ, কাঠকুড়ালি ইত্যাদি। এটি 'Upupidae' পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি পাখি। এই পাখি দেখতে অত্যন্ত সুন্দর, এর ঝুঁটি ও পাখার সৌন্দর্য একে বিশেষায়িত করেছে।
স্বভাবঃ এটি মেঠো পাখি, গ্রামে ঘরবাড়ির আঙ্গিনায় দেখতে পাওয়া যায়। বাসা করে গাছের কোটরে, পুরনো দেয়ালের ফাঁক-ফোঁকরে।
বিবরণঃ মোহনচূড়া পাখি ২৫-৩২ সে.মি লম্বা পর্যন্ত লম্বায় হয়। বাদামি শরীর, ডানা ও লেজে সাদা ও কালো দাগ আছে। এর ঠোঁট দীঘল ও কিছুটা বক্র, রং কালচে লম্বা। মাথায় একটি সুন্দর ঝুঁটি আছে,ঝুঁটি দেখতে হলদে বর্ণ। উত্তেজিত হলে পাখিটি ঝুঁটি প্রসারিত করে। বাদামিপালকের মাথাটা কালো।
প্রজননঃ এ পাখিটির প্রজনন মৌসুম বৎসরের মার্চ থেকে জুন। বাসা বানিয়ে ডিম দেয় ৪-৫টি। ডিমের রং সাদা। স্ত্রী পাখি ডিমে ১৮-২০ দিন তা দিযে বাচ্চা ফোটায়। সদ্যজাত ছানাদের রঙ কিছুটাবাদামি
খাবারঃ বিভিন্ন কীট-পতঙ্গ, কেঁচো, বিভিন্ন ফল। লম্বা ঠোঁট মাঠের গর্তে ঢুকিয়ে পোকামাকড় বের করে এনে খায়। অভিনব কায়দায় উঁইপোকা বের করে আনে ওরা। উঁইয়ের বাসা বা গর্তে লম্বা ঠোঁট ঢুকিয়ে দেয়। উঁইরা ঠোঁট বেয়ে ওঠে। ঠোঁট বেরিয়ে মাটিতে ঠোকরায়। উঁইয়েরা পড়ে ঝরে। টপটপ গেলে আবারও ঢোকায় ঠোঁট।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা।