নিউজ ডেস্ক: সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদরে শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর আশ্রমের একটি আম গাছে বসন্ত কালেই,একদিকে মুকুল অন্যদিকে থোকা বেধে ঝুলছে আম। বিষয়টি অবিশ্বাস্য হলেও বাস্তবে মিলেছে দেখা মধ্যনগরে।
অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে, বছর কয়েক যাবৎ এই দেশীয় গাছের পরিপক্ব আম লাগে শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেবের সেবায়।কিন্তু পুর্বে এরকম ছিল না। অন্যান্য স্বাভাবিক গাছের ন্যায় বসন্তে মুকুল আসতো মৌসুমে পরিপূর্ণ আম যথা সময়োপযোগী পরিপক্বতা দেখা যেতো।
বিবিসির সুত্র অনুযায়ী, ফল বিভাগে মুখ্য বিজ্ঞানী মদন গোপাল সাহার মতে বাংলাদেশের আমের মৌসুমকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়।আগাম জাত মধ্য মৌসুমী জাত এবং নাবি জাত।মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট পাঁচ মাস আম পাওয়া যায়। মে’মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে জুনের মাঝামাঝি পাওয়া যায়- গোপাল ভাগ, গোবিন্দভোগ, বৃন্দাবনী,গোরাব খাস,রানী পছন্দ, হিমসাগর,ক্ষিরষা পাত ও বারি-১ জাতীয় আম।
জুনের মাঝামাঝি থেকে জুলাইয়েরশুরুতে-ল্যাংড়া, হাড়িভাঙ্গা, লক্ষণভোগ, ক্ষুদীখরসা, বোম্বাই, বারি-২, সূর্যপুরী। জুলাই মাস থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথমসপ্তাহ’-ফজলি, আম্রপালি, মোহনভোগ, আশ্বিনা গৌরমতি, বারি-৩, বারি-৪ ইত্যাদি। তবে এই আমের জাত বা নাম কোনটাই বুঝে উঠতে পারছে না অনেকেই।গাছটি বয়স আনুমানিক ৩০বছর।
মধ্যনগর জগন্নাথ জিউর আশ্রম কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ রায় জানান, আমার জানামতে এই দেশীয় গাছের আম দোল পূর্নিমা তিথিতে জগন্নাথ দেবের সেবায় লাগে।
মধ্যনগর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোপেশ সরকার বলেন, জগন্নাথের ইচ্ছে হলে সবই সম্ভব।এই অবিশ্বাস্য ঘটনা অসম্ভবের কিছুই না। ঈশ্বর ইচ্ছায় এক রাতে যদি সব ফুল গাছেই ফুল ফুটতে পারে এটাতো স্বাভাবিক।
মধ্যনগরের ভক্ত বাবু লিটন পোদ্দার বলেন, গাছটির বয়স প্রায় ত্রিশ বছর। তবে প্রতি বছরের ফাল্গুনী সময়েই আমের মুকুল আসতো।কয়েক বছর যাবৎ ব্যাতিক্রমী এই ফলদেয়া দেখে আমি হতভম্ব। আমি বলবো ঈশ্বর ইচ্ছায় দোল পূর্ণিমায় ৪০প্রহর ব্যাপী হরিনাম মহাযজ্ঞানুষ্ঠানে জগন্নাথের সেবায় লাগতেই এই আমের ফলন হয়, জয় জগন্নাথ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।