বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:২১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সুনামগঞ্জ কমিউনিটি প্যারামেডিক যুব কল্যান সংগঠন” এর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিতমোটর বাইক সড়ক দূর্ঘটনায় রাজস্থলী প্রেস ক্লাবের সভাপতি আজগর আলী গুরুত আহতআলোকিত সুর কার্যালয়ে প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বীর আহমদ বিশ্বনাথী দা.বা.সংবর্ধিত।বাংলাদেশ বুলেটিন পত্রিকার ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনআগামী দু”দিনব্যাপী ৪৮ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচী সফল করতে সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি ও ছাত্রদলের মশাল মিছিলদোয়ারাবাজারে আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল ও উল্লাস।সুখ স্মৃতি- মাহমুদ বিন মান উল্লাহ।দোয়ারাবাজারে তরুণদের টিভি উপহার দিলেন অ্যাডভোকেট কানন আলম।নির্বাচন নিয়ে যা বলেন- মাওঃ হাম্মাদ আহমদ গাজীনগরী। সুনামগঞ্জে ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করলো ছাত্রলীগ।

প্রয়োজন যার ফুরিয়েছে-আশ্রয় কি তার বৃদ্ধাশ্রম ?

নিজেস্ব প্রতিবেদন
  • সংবাদ প্রকাশ শুক্রবার, ২৮ মে, ২০২১
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার 

একটা গল্প , হয়ত আপনারা অনেকেই শুনেছেন। ছোট একটা সংসার। বাবা, মা, ছোট ছেলে এবং ছেলেটার দাদা।
দাদার অনেক বয়স হয়ে গেছে। কোন কাজ করার শক্তি। নেই। সারাদিন এক বিছানায় পড়ে থাকে। একদিন ছেলেটার বাবা একটা ঝুড়ির উপর বুড়োকে বসিয়ে জঙ্গলের উদ্যেশ্যে রওনা দিল। যাচ্ছে , যাচ্ছে।

বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর ছেলেটা হঠাৎ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, “বাবা, তুমি দাদুকে ঝুড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?”

“তোমার দাদুকে আমরা এখন জঙ্গলের ভেতর রেখে আসবো”, বাবা উত্তর দেয়।

“কেন?”, ছেলেটা অবাক হয়।

“কারন তোমার দাদুতো বুড়ো হয়ে গেছে, কোন কাজ করতে পারেনা। আমাদের কোন উপকারেও লাগেনা। শুধু খায় আর ঘুমায়। কি লাভ তাকে বাসায় রেখে?

তাই তাকে আমরা জঙ্গলে রেখে আসতে যাচ্ছি। ”

“ওহ!”, কিছুক্ষন কি যেন ভাবে ছোট ছেলেটা, তারপর বলল, “ঠিক আছে বাবা, কিন্তু দাদুকে রেখে আসার সময় আমরা কিন্তু অবশ্যই ঝুড়িটা নিয়ে আসবে।

“কেন”, একটু অবাক হয় বাবা।

“কারন, যখন আমি বড় হব, তুমি তো তখন বুড়ো হয়ে যাবে, দাদুর মত। তখন তুমি কোন কাজই করতে পারবানা। শুধু খাবা আর ঘুমাবা। তখন তো তোমাকে বাসায় রেখে আমার কোন লাভই হবে না। শুধু শুধু তখন টাকা খরচ করে নতুন ঝুড়ি কিনতে যাব কেন? এই ঝুড়িতে করেই না হয় তোমাকে জঙ্গলে রেখে যাব।”

ছেলের কথায় চমকে উঠলো বাবা। হঠাৎ করেই নিজের ভূল বুঝতে পারলো। বুঝতে পারলো সে যখন ছোট ছিল, যখন কোন কিছু করারই ক্ষমতা ছিলনা, তখন তার বাবা মা-ই তাকে যত্ন করে বড় করেছে। আজ তার বাবা বুড়ো হয়ে যেন শিশু হয়ে গেছে। ছোটবেলায় যেমন তার বাবা তাকে বুকের মধ্যে আগলে রেখেছিল, এখন তেমনি তার দায়িত্ব হলো তার বাবাকে আগলে রাখা। এই সময়ে তার বাবার প্রতি তার সেবা, হয়ত কিছুটা হলেও তার বাবার প্রতি ঋন শোধ করা হবে।

☀️তাই আসুন আমাদের যাদের বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে না পাঠিয়ে তাদের প্রতি আমরা যত্নবান হই।

##সর্বশেষ আমাদের কারোরই বাবা-মায়ের বৃদ্ধ বয়সে তাদের ঠিকানা যেনও বৃদ্ধাশ্রম না হয়।।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2023 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281