রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:০২ অপরাহ্ন

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব, প্রবারণা পূর্নিমার উদযাপন সম্পন্ন

হাওড় বার্তা ডেস্ক
  • সংবাদ প্রকাশ সোমবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৭০ বার পড়া হয়েছে

চাইথোযাইমং মারমা , রাঙ্গামাটি ব্যেুরো:

আজ ৩ পার্বত্য জেলাসহ রাঙ্গামাটি জেলা জুড়ে রাজস্থীতে উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়ন গ্রাম পর্যায় সহ বৌদ্ধ বিহার ২৯ অক্টোবর বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা বা বৌদ্ধ পূর্ণিমা পালিত।  আষাঢ় মাসের পূর্ণিমা থেকে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বর্ষাব্রত পালন করেন, অর্থাৎ আসছে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি বর্ষাব্রত পালনের শেষ দিন এবং সেদিনই তারা প্রবারণা পালন করবেন সকল বৌদ্ধ সম্প্রদায় মারমা সহ । গত কয়েকদিন আগে এ উৎসবকে ঘিরে পাহাড়ি পল্লীতে চলছে জোড় কদমে শেষ মুহুর্তের আজ সোমবার শেষ তিথি।

রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলা প্রায় শতাধিক পাহাড়ি পল্লীতে প্রবারণা পূর্ণিমার উদযাপন করা হয় । প্রধান উৎসবকে ঘিরে স্থানীয় বাজারগুলোতে চলছে কেনাকাটার ধূম।  তিন দিন ব্যাপী  পিঠা উৎসব, ফানুস ওড়ানো, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, অতিথি আপ্যায়নসহ বিভিন্ন বর্ণিল আয়োজনে সাজবে পাহাড়ি পল্লীগুলো পূণিমা প্রবারণা আজ শেষ দিন।

প্রবারণার আরেকটি উৎসবময় দিক হচ্ছে ফানুস ওড়ানো, বৌদ্ধ শাস্ত্র মতে ফানুস ওড়ানোর উদ্দেশ্য হলো আকাশে ভাসমান গৌতম বুদ্ধের পবিত্র কেশ ধাতুকে ফানুস উড়িয়ে প্রদীপ দিয়ে বন্দনা করা।  শাস্ত্রে লেখা আছে সিদ্ধার্থ গৌতম মাথার এক গুচ্ছ চুল কেটে বলেছিলেন তিনি যদি সিদ্ধিলাভের উপযুক্ত হন তাহলে তার কর্তিত চুল যেন নিম্নে পতিত না হয়ে উর্দ্ধে উঠে যায় এবং চুল গুচ্ছ দমকা বাতাসে উড়ে গিয়েছিলো।  তার এই কেশ ধাতু পূজার স্মৃতি স্বরূপ আকাশে ফানুস ওড়ানো হয়।

প্রবারণার বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে বৌদ্ধ নর নারীরা সূচী শুভ্র হয়ে পরিচ্ছন্ন পোশাকে বৌদ্ধ বিহারে সমবেত হওয়া, বুদ্ধকে পূজা দেয়া, ভিক্ষুদের দান ও আহার্য দেয়া, অষ্টশীল ও পঞ্চশীল গ্রহণ, দুপুরে বিহারে ভাবনা এবং বিকেল আয়োজিত ধর্মসভায় অংশগ্রহণ।  এছাড়াও রয়েছে নবীনদের দ্বারা প্রবীণদের প্রণাম, ছোটদের আশির্বাদ, সমবয়সীরা কোলাকুলি করা ইত্যাদি; এদিন গৃহীরা ঘরে ভাল ভাল রান্নাও করে থাকেন।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে প্রবারণার গুরুত্ব ও মর্যাদা মহান ও তাৎর্পযমণ্ডতি।  তাই প্রবারণা উদযাপনে বলা হয়, পাপ ও অশুভর্কম থকেে মুক্ত থাকার জন্য এই ব্রতর্কমরে সাধনা।  আজ ৩ মাস বর্ষবাস পূর্ণ হয় এবং সাদা পোষাক পড়ে দায়ক দায়িকারা বিহার হতে নামতে শুরু করছেএবং ভান্তেরা সকলে উদেশ্য ধর্ম দেশনায় ও জাতক গল্পের শুনান যাতে সামনে দিনে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি তে বসবাস করুক এটা গৌতম বুদ্ধের কাছে প্রাথণা করেন।

জীবন গঠনরে ক্ষেত্রে এবং সত্যনিষ্ঠ ধ্যান সমাধির ক্ষেত্রে এর কোনো বিকল্প নইে।  তাই শীল, সমাধি ও প্রজ্ঞাসাধনার পাশাপাশি আত্মসংযম ও ত্যাগশিক্ষা বৌদ্ধ প্রবারণার একটি অপরিহার্য বিধান।  বুদ্ধের জীবদ্দশায় শ্রাবস্তীর জেতবন বিহারে অবস্থানকালে তিনি ভিক্ষুসংঘের পালনীয় কর্তব্য হিসেবে এ প্রবারণার প্রর্বতন করেন। তিন মাস বর্ষাবাস সমাপনান্তে ভিক্ষুসংঘ আপন আপন দোষ-ত্রুটি স্বীকারপূর্বক জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুদের কাছে প্রকাশ করে এবং তার প্রায়শ্চিত্র বিধানের আহ্বান জানায়। তেমনি ভাবে জ্যেষ্ঠ ভিক্ষুরাও নবীনদের কাছে তাদের ভুল ভ্রান্তির কথা জানায়। র্অথাৎ, ভিক্ষুরা জ্ঞাত অথবা অজ্ঞাতসারে যে কোনো অপরাধ করে থাকলে সইে অপরাধ স্বীকারর্পূবক প্রবারণা দিবসে ক্ষমা প্রার্থনা করনে।  কারণ দৈনন্দিন জীবনাচারে চিবত্ত নানা রকম অকুশলে আবষ্টি হয়।  তাই প্রতিটি মুর্হূতে চিত্ত জাগ্রত রেখে গুণের প্রতি আকৃষ্ট থাকার জন্যই এ প্রবারণার প্রবর্তন করা হয়। রাঙ্গামাটি জেলাসহ ৩ পার্বত্য এলাকায় বৌদ্ধ ধর্মেলম্বীরা এক সাথে প্রবারণা পূর্ণিমা ভাবগাম্ভীর্য উদযাপন করা হবে। সরেজমিনে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে ঘুরে দেখা যায়,ডাকবাংলো অনাথ আশ্রম পরিচালক প্রতিষ্ঠাতা উ: খেমাচার মহাথেরো জানান,প্রতিবছর আমরা সুন্দর পরিবেশ সু শৃঙ্খলা ভাবে ৩মাস বর্ষাবাস ভিক্ষু শ্রমণ সহ সাধু সন্ন্যাসী উপাসক উপাসিকারা গৌতম বুদ্ধের অনুসারী গৌতম বুদ্ধের ধ্যানের মাধ্যমে এ দিনটি গুরুত পূর্ণ মনে করি, এবং সবাই যথাযথভাবে ৩মাস বর্ষবাস কে পালন করে শেষ মাধ্যমের ঐদিন গৌতম বুদ্ধের কাছে সকলে প্রদীপ পূজা ফুল পূজা, আহার পূজা, পানি পূজা, ফল ফ্রূট পূজা মাধ্যমের গৌতম বুদ্ধের কাছে প্রার্থণা করবে, যাতে সকল সম্প্রদায় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি শৃঙ্খলা পরিবেশের বসবাস করতে পারি জোরালো ভাবে প্রার্থণা করা হবে। আরো বলেন, বাঙ্গালহালিয়া কেন্দ্রীয় হেডম্যান পাড়া বৌদ্ধ বিহারে অধ্যক্ষ ওাইননাসারা ভান্তে বলেন, আমাদের বিহারে সাজ সজ্জা বিভিন্ন অনুষ্ঠান মাধ্যমে মহা প্রবারণা পূর্ণিমা সকল প্রোগ্রাম ও রাতে স ন্ধ্যা ফানুস উড়িয়ে বা গৌতম বুদ্ধের মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমা সম্পন্ন করা হয়। শেষান্তে ৩নংইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায় সারাদেশব্যপী এক সাথে আষাঢ়ী পূর্ণিমা পার্বত্য চট্রগ্রাম বসবাসরত সকলে এ উৎসব সুন্দর শৃঙ্খলা পরিবেশের আজ মারমা ওযাগ্যাই উদযাপন শেষ করা হয়েছে। জগতে সকল প্রাণী সুখী হউক।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281