বিশেষ প্রতিনিধি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ
সুস্বাদু ও পুষ্টিকর ফল আম। মজার আম গুলো ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর। আমাদের দেশের প্রায় সবাই আম খেতে পছন্দ করে। কারণ এ দেশের উৎপন্ন হওয়া আমগুলো মিষ্টি ও পুষ্টিতে ভরপুর হয়ে থাকে।এ জন্যই আমকে বলা হয় ফলের রাজা।
উন্নতজাতের আমগুলোর মধ্যে গোপালভোগ, হাঁড়িভাঙা, হিমসাগর, আম্রপালি ও ফজলি। আর সবার শেষে পাওয়া যায় আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম।
এসব আম আমরা বাজারে পেয়ে থাকি। কিন্তু বাজার থেকে কেনা আম কেমিক্যাল মুক্ত কিনা বুঝবেন কীভাবে? আমের হাজারো গুণ কোনো কাজেই আসে না, যদি আমে ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশানো থাকে। কেমিক্যাল যুক্ত আম খেলে শরীরের বড় ক্ষতি বয়ে আনে।
আমে মেশানো কেমিক্যাল মানুষের শরীরে গেলে ত্বকের ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসার, লিভার ও কিডনির সমস্যা, মস্তিষ্কের ক্ষতির মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে।
পাকা আম দেখে কিনতে হবে। আর চেনার সহজ উপায় হচ্ছে—
*বেশি চকচকে দেখায় এমন আম কখনই কেনা যাবে না
*গাছপাকা আমের গায়ে মিষ্টি গন্ধ থাকবে
* নাকের কাছে আম নিয়ে গন্ধ পরখ করে নিতে হবে। জানতে হবে কোন আম কখন পরিপক্ব হয়।
* বাজার থেকে আম এনে খাওয়ার আগে অন্তত ১৫ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিন।
জেনে নিন রাসায়নিকভাবে পাকানো আম চেনার উপায়—
* ফলের চেহারা হবে উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয়।
* কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো আমের সব দিকটাই সমানভাবে পাকবে; কিন্তু গাছ পাকা ফলের সব দিক কখনই সমানভাবে পাকে না।
* রাসায়নিক দিয়ে পাকানো ফলে স্বাভাবিক পাকা ফলের মতো মিষ্টি গন্ধ থাকে না।
* প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়ার ওপর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণের হয়ে যাবে। কিন্তু কেমিক্যাল দ্বারা পাকানো ফলে আয়োডিনের রঙ অপরিবর্তিত থাকে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া