দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি: হাওর বিসৃষ্ট জেলা সুনামগঞ্জ প্রতিটি উপজেলায় রয়েছে ছোট বড় হাওর, প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যদিয়ে হাওরাঞ্চলের প্রধান ফসল বোরোধান সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক কৃষাণীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় পাহাড়ি ঢল,আগাম বন্যায় বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় সোনালি ফসল বোরোধান, তাই তীব্র গরম উপেক্ষা করে ধান সংগ্রহ করছে কৃষক।
উপজেলার মান্নার ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম (৫৫) জানান, গরমের কারণে তারা কাজের সময় পরিবর্তন করেছেন। তারা এক সপ্তাহ আগে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কাজ করতেন দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে। প্রতি দেড় ঘণ্টা পর পর ১০ মিনিট হালকা বিশ্রাম নিতেন। এখন একই পারিশ্রমিকে ভোর ৬টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত অনেকেই কাজ করছেন।
গরম আমাদের কাছে কোনো বিষয় না। বিষয় হচ্ছে ফসল ঘরে নিতে হবে।শুকবার (২৬ এপ্রিল) কথাগুলো বলছিলেন দোয়ারাবাজার সদর ইউনিয়নের নাইন্দার হাওর এলাকার কৃষক আবদুল হক (৬০)।
ঘড়িতে তখন সময় দুপুর প্রায় ১২টা। তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময়ে ফসলি মাঠে খালি মাথায় দাঁড়ানো ছিল প্রায় অসম্ভব। অথচ সেই রোদে জমিতে সয়াবিন কাটছিলেন ১৫ জন কৃষক। তাদের সবার শরীর থেকে তখন ঝরছিল ঘাম। প্রচণ্ড গরমে শরীরে ক্লান্তি থাকলেও তাদের মুখে ছিল হাসি। তারা গান গেয়ে গেয়ে ধান কাটছিলেন।
উপজেলার কয়েকটি হাওরের কৃষকেরা বলেন, ‘মাঠে ধান পেকে গেছে। এখন দ্রুত ফসল তোলা জরুরি। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হলেও ধান তুলতে হবে। কারণ দেরি হলে পাহাড়িঢল, আগাম বন্যা । তাতে আমরা শেষ হয়ে যাব।’
কয়েক দিন ধরে সারাদেশে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র গরমে হাসফাঁস করছে মানুষ। সন্ধ্যার পরও মিলছে না স্বস্তি।এ অবস্থার মধ্যেও থেমে নেই কৃষকের কাজ। তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে তারা ফসল ফলানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে গরমের কারণে অবশ্য কেউ কেউ জমিতে কাজের সময় পরিবর্তন করেছেন।কৃষকরা জানান, তাপ হোক আর বৃষ্টি, সময়মতো প্রয়োজনীয় কাজ না করলে ঘরে ফসল উঠবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার শেখ মুহাম্মদ মহসিন বলেন, রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কৃষকরা ক্ষেত-খামারে কাজ করছেন। তবে এ সময় মালিকদের কৃষি শ্রমিকদের ঠাণ্ডা পানি ও স্যালাইন দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।