স্টাফ রিপোর্টার নোমান আহমেদ, (সিলেট) কোম্পানীগঞ্জঃ
সিলেট,কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ৬নং দক্ষিণ রনিখাই ইউনিয়নে অবস্থিত বর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানের পেছনে লেগে পড়ে আছে একটি বৃহৎ কুচক্রী মহল। ২০০৭সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মেধা ও ঘাম জড়ানো পরিশ্রমের ফসল হিসেবে নিজ বিদ্যালয়কে উচ্চ বিদ্যালয়ে উড্ডীন ও নিজের আসন স্তির এবং বিদ্যালয়কে এমপিও করতে যা কিছু প্রয়োজন তা অর্জন করতে অনেক অপেক্ষার প্রহর গোনতে হয়েছে উনাকে কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই যে যখন উনি প্রায় বিনা বেতনেই বলা যায় ১৪ বছর পরিশ্রম করে শ্রমের ফসল হিসেবে নিজে উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে বহাল থাকলেন ঠিক তখন-ই বর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক বহিষ্কৃত এক সহকারী শিক্ষক ও অত্র এলাকার কিছু স্বার্থনেশী লোক উনার পেছনে পড়ে যায়, যে উনার কি যোগ্যতা আছে বা কি নাই।
উক্ত কুচক্রী মহল যায় মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড,জেলা শিক্ষাবোর্ড ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় নানারকম কুৎসারটনা ও লিখিত আবেদন দেওয়া শুরু করে কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই রায় ও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগের বৈধতার পক্ষে আসে।
ইদানীং ফেইসবুক ও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে উক্ত কুচক্রী মহলের নানাধরণের অপপ্রচার শুরু করলে উনার বৈধতা নিয়ে জনমুখে শুরু হয় নানা প্রশ্ন তাই অগ্রযাত্রার স্টাফ রিপোর্টার নোমান আহমেদ উনার সাক্ষাতকার নিলে উনি বলেন, আমি ২০০৭ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজ শুরু করি।২০১০ সাল থেকে আমি প্রতিষ্ঠান প্রধানের দায়িত্ব গ্রহন করি। ২০১৬ সালে মহাপরিচালক মহোদয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে সরকারি বিধি মোতাবেক আমি নিয়োগ লাভ করি।
উনি বলেন, আমি যখন এই বিদ্যালয়ের জন্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে গেলাম কেউ তখন আমার পেছনে ছিল না কিন্তু যখন প্রায় ১৪ বছর ঘাম জড়িয়ে বিদ্যালয়কে বর্তমান আসনে আনলাম এখন দেখাযায় যে ব্যক্তিকে ফন দিতে দিতেও বিদ্যালয়ের কোনো জরুরী বৈঠকে আনতে ব্যর্থ হতাম আজ সেও আমার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করে।আমাকে বিদ্যালয় থেকে বাহির করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র ও বিভিন্ন মহলে দৌড়াদৌড়ি করে আবেদনের মহড়া নিয়ে।
উনি বলেন আমাকে যখন ওরা বৈধতার চাপে ফেলে দিল স্থানীয় প্রশাসন তখন তাদের আবেদনের ভিত্তিতে তা বিচারের আওতায় নেয় এবং সেই রায় এ আসে যে আমাকে সরকারি বিধি মোতাবেক বর্ণি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।রায় নিম্নরূপ;
স্থানীয় প্রশাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কোম্পানিগঞ্জ, বিগত ০৪/০৮/২০২০খ্রিঃ তারিখের স্মারক নং ৩১.৬০.৯১২৭.০০০.০৪.০০৩.১৮-১৯১।
তিনি আরো বলেন
একাধিক তদন্তে তার নিয়োগ বৈধ বলে তদন্তকারী কর্মকর্তারা লিখিত মতামত ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সদস্য জনাব আব্দুর রউফ,কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন একটি কুচক্রী মহল প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করার জন্য প্রতিষ্টান প্রধানের বিরুদ্বে কুৎসা রটাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্বে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে যা প্রচারিত হচ্ছে তা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরোও বলেন,ইসহাক আহমদ নামের একজন উক্ত প্রতিষ্ঠানের খণ্ডকালীন শিক্ষক ছিল, প্রতিষ্ঠানের প্রধানের স্বাক্ষর নকল করার জন্য বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে বিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে দেয়। তখন থেকে সে প্রতিষ্ঠান এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্বে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদন্ত রিপোর্টে ইসহাক আহমদের নকল স্বাক্ষরের সঠিকতা তদন্তে উল্লেখ রয়েছে।
উক্ত বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির সাথে যোগাযোগ করলে উনি বলেন উক্ত কুচক্রী মহলে যে বা যারা জড়িত তাদের বাঁচাই করে অতিশীঘ্রই তাদের বিরুদ্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া