মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

ডুমুরিয়া ভারী বর্ষণ এবং জোড়ালো বাতাসের কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত পেঁপে চাষীরা। হাওড় বার্তা

নিত্যানন্দ সরকার অয়ন
  • সংবাদ প্রকাশ : শুক্রবার, ৩০ জুলাই, ২০২১
  • ৭৩৭ বার পড়া হয়েছে

ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি

খুলনার ডুমুরিয়া অঞ্চলে গত বুধবার (২৮ শে জুলাই) সকাল থেকেই চলছিল হালকা বৃষ্টিপাত। মাঝেমধ্যে সেই বৃষ্টিপাত রুপ নেই ভারী বর্ষণেও।উক্ত দিন কখনো হালকা কখনো ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে গেলেও আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব দেখা দেয় পরের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার (২৯ শে জুলাই)।

বুধবার সারা দিন ভারী বর্ষণ এবং জোরালো বাতাস দেখা যায়, যার এক বিশাল প্রভাব পড়ে এই এলাকার পেঁপে চাষিদের উপর। অতিরিক্ত বৃষ্টি এবং বাতাসের কারণে ছোট-বড়-মাঝারি অনেক পেঁপে গাছই মাটি থেকে শিকড় বিচ্ছিন্ন করে জমির সাথে নেতিয়ে পড়ে। প্রতিটা গাছে ফলন খুব ভালো। তবে গাছ উপড়ে পড়ার কারণে পেঁপে গুলো এখন জমিতেই পড়ে আছে।

সেখানকার স্থানীয় পেঁপে চাষি রবিন সরকারের সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, করোনাকালীন লকডাউনে বাজার ঘাট বন্ধ থাকায় পেঁপের দাম অনেক কমে যায়। যার জন্য তারা পেঁপে গাছ থেকে না ভেঙে গাছেই রেখে দেয়। একটানা দুই দিন বৃষ্টিপাতে গাছের গোড়া নরম হয়ে যায়। সাথে জোরালো বাতাস এবং গাছে অতিরিক্ত পেঁপে থাকায় গাছ মাটি থেকে উপড়ে পড়ে। এখন তারা এই উপড়ে পড়া গাছগুলোর পেঁপে কাঁচামাল ফসল ব্যবসায়ীদের ডেকে খুব স্বল্প দামে বেচে দিচ্ছে। যেখানে তাদের পেপের স্বাভাবিক বাজার দামের মূল্য মণ প্রতি ৮০০-১০০০ টাকা হয়ে থাকে। সেখানে এখন তারা ঐ মূল্যের অর্ধেক দামও পাচ্ছেন না।

তিনি আরো বলেন, উপচেপড়া এই গাছগুলো এখন তারা বাঁশের খুঁটির সাহায্যে সোজা করে আবার মাটিতে রেখে দিবে। এরফলে কিছু গাছ হয়তো বেঁচে যেতেও পারে,তবে ওই গাছ গুলোতে আর আগের মতো ফলন তারা পাবেন না। যা এই করোনাকালীন সময়ে তাদের জন্য এক বিশাল ক্ষতি স্বরূপ। তবে তারা এটুকুতেই খুশি যে তাদের কোন গাছ ভেঙে যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

এ ধরণের আরও সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা নিবন্ধন নাম্বার (মফস্বল -২০১) © সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২০-২০২৫
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jp-b3b0bbe71a878d4c2656