শাহেদ হোছাইন মুবিন, উখিয়া।
উখিয়া উপজেলার দারোগা বাজার, কোট বাজার,মরিচ্যা বাজার, সোনার পাড়া বাজার, কুতুপালং বাজার, বালুখালি বাজার, থ্যাইংখালি বাজার, পালংখালী বাজার গুলোর মোড়ে মোড়ে হরদমে বিক্রি হচ্ছে তালের শাঁস। আবার কোথাও কোথাও ভ্যানযোগে পাড়া-মহল্লাতেও ঘুরে ঘুরে তাল শাঁস বিক্রি করতে দেখা যাচ্ছে।
গত ২ দিন ধরে বৃষ্টির কোনো দেখা নেই।
ফলে প্রচণ্ড তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন। আর এর মাঝেই একটু স্বস্তি পেতে সৌখিন ক্রেতা থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের কাছে মধু মাসের ফল তালের কদর বেড়েছে।
উখিয়ার পালংখালী আনজুমান পাড়া গ্রামের তাল শাঁস বিক্রেতা কবির জানান, স্থানীয়ভাবে এই তালকে পানিতালও বলা হয়। প্রতিবছর মধু মাসে উখিয়া সহ আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে পাইকারী দামে তাল শাঁস ক্রয় করে এনে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে থাকেন।
সেক্ষেত্রে গাছ থেকে পাড়া এবং বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজার থেকে আনা পর্যন্ত সব খরচই তাকে গুনতে হয়। আর গাছ মালিক তো তাল কেটে নামানোর আগেই টাকা পেয়ে যান।
তাল শাঁস ক্রেতা বাপ্পি বলেন, ফলন কমের কারণে কিছুটা সংকটও রয়েছে তালের। তবে তালের শাঁসের দাম বেশি ।
আর ক্রেতারাও বলছেন, গত বছরের থেকে এবারে তাল শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। তারপরও মৌসুমি ও সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের।
বিক্রেতা সাইফুল ইসলাম ও আজাদ রহমান বলেন, তাল শাঁসের সংকটের কিছুটা চড়া মূল্যে এ মৌসুমী ফল বিক্রি করতে হচ্ছে। বাজার এলাকায় তালের প্রতিটি শাঁস (যেগুলোকে স্থানীয়ভাবে চোখ বলা হয়) ৫-১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একটি তিনচোখের পানিতাল ১৫-২৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। আর গ্রামাঞ্চলে বহন খরচার উপর নির্ভর করে সেটি ১০-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরম বাড়ার কারণে এখন তাল শাঁসের বিক্রি বেশ ভালো। কেউ একটা দুটা কিনছেন, আবার অনেক সৌখিন ক্রেতা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য পীর (একবোটা) হিসেবে তাল ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া