বিশেষ প্রতিনিধি দক্ষিণ সুনামগঞ্জ
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশকে ডিজিটাল হিসেবে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রযুক্তি। প্রযুক্তি দিন দিন যত সহজ হচ্ছে ততই বাড়ছে তার অপব্যবহার।সেই প্রযুক্তির অপব্যবহারে মধ্যে অন্যতম হলো ”টিকটক”। চীন থেকে আসা এই অ্যাপ ‘টিকটক” যেন চীন থেকে আসা ‘করোনা ভাইরাসের’ মত আমাদের সমাজে ছড়াচ্ছে। এই অ্যাপটি প্রতিভাবান ও প্রতিভাহীন যে কেউ খুব সহজে ব্যবহার করতে পারে। প্রয়োজন শুধু স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ।
”টিকটক” এর একটি তথ্য মতে জানা যায় প্রায় ১০০ কোটি মানুষ অ্যাপটি ব্যবহার করছে। সহজ বিনোদনের এই মাধ্যমটিতে অনেকেই নিজ ভাষা ছেড়ে অন্য ভাষায় ঠোঁট মেলাচ্ছে, অভিনয় করছে। অধিকাংশ ভিডিওতে দেখা যায় অশোভন পোশাক ও অশ্লীল পদ্ধতিতে নৃত্য প্রদর্শন কিংবা কোনো ভাইরাল হওয়া গান বা ডায়লগ এর সাথে মিলিয়ে ভিডিও প্রদর্শন করা।
প্রথমেই এর প্রভাব যুব সমাজের উপরে বিস্তার করে, এখন দেখা যায় ধীরে ধীরে সকল শ্রেণীর ওপর প্রভাব ফেলছে। এক মিনিটের এই ভিডিওগুলো তে দেখা যাচ্ছে ফ্রেন্ড ফলোআরো ও অনেক বেশি। আমি সেলিব্রিটি না বললেও এতে যোগ দিয়েছেন সিনেমার অনেক তারকারা ও। ইদানিং ‘টিকটকে’ নাকি অর্থ পাওয়া যায়। টিকটকারদের মতে যদি এটুকু পরিশ্রমে সেলিব্রিটি ও অর্থ পাওয়া যায় তাহলে ক্ষতি কি।
আসলে ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, কোন মাধ্যমই খারাপ নয়। খারাপ হয় তার ব্যবহারের দোষে। আর প্রযুক্তির অপব্যবহারের ফলে বাড়ছে সামাজিক ও পারিবারিক অস্থিরতা। আমার মতে,এ থেকে রক্ষা পেতে হলে পরিবারের পাশাপাশি সমাজ ও সরকারি নীতি নির্ধারকদের ও আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া