মহেশখালী কক্সবাজার থেকে,
মাইকেল এম্ব্রির ভাষায়, ধন সম্পদ খুজঁতে আমাকে খুব দূরে যেতে হয় না, প্রতিদিন যখন আমি লাইব্রেরিতে যাই তখন আমি সেখানে অনন্য সব ধন খুজেঁ পাই।
গ্রন্থাগারের ইতিহাসের শুরু ২৬০০ খ্রীষ্ট্রপূর্বাব্দে, প্রাগৈতিহাসিক থেকে ঐতিহাসিক যুগের সন্ধিক্ষনে।তক্ষশীলা ও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীব সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারের অস্তিত্ব মিলেছে।গ্রন্থাগারের মূল লক্ষ্য থাকে তথ্যসংশ্লিষ্ট উপাদান সংগ্রহ, সংরক্ষণ, সংগঠন, সমন্বয় এবং পাঠকের জন্য তা উন্মুক্ত করা। তার ধারাবাহিকতা উদ্ভোদন হলো মহেশখালী কালারমারছড়া ইউনুছখালীতে মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরী।
উক্ত মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরির শুভ উদ্বোধন করেন মহেশখালী উপজেলা অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান ।
১৮ জুন (শুক্রবার) বিকাল ৫টার সময় ইউনুছখালী বাজারে টিপু মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় পাবলিক লাইব্রেরি উদ্বোধনকালে অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী থানার ওসি মোঃ আব্দুল হাই , কবি ও সাহিত্যিক জাহেদ ছরওয়ার , কালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ ও কক্সবাজার জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা কামাল রুহানী।
কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ বলেন,বর্তমানে যারা ছাত্র-ছাত্রী আছে তারা পাঠ্য বইয়ে সীমাবদ্ধ থাকে,এ ক্ষেত্রে লাইব্রেরি তাদেরকে আরও প্রসারিত করবে।সুতরাং মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরী এর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরিকে এগিয়ে নিয়ে যতটুকু সহযোগিতা প্রয়োজন আমি করব। মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরি জন্য আমার ব্যক্তিগত তরফ থেকে ২০ হাজার টাকা অনুদানসহ এবং মাসে যে খরচটা আসবে তা আমি বহন করব।সাথে কক্সবাজার জেলা হিসাব রক্ষক কামাল রুহানীও ৫ হাজার টাকার বই উপহার দিবে বলে আশ্বাস দেন।
মহেশখালী উপজেলা অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান ও মহেশখালী থানার ওসি মোঃ আব্দুল হাই মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরি করার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করবে বলে জানান।
উক্ত উদ্ভোধন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরীর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক এরফান হোছাইন।
কবি ও কথাসাহিত্যিক জাহেদ সরওয়ার বলেন, বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করে অসামাজিক কাজ থেকে মানুষকে দূরে রাখতেই মনিরুজ্জামান পাবলিক লাইব্রেরীর বিকল্প নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান