তালা(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে অত্যান্ত ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রাচীন বাংলার অন্যতম শিল্প কামার শিল্পের কারিগররা।
মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম ঈদুল আজহা। আর মাত্র ৩ দিন পরেই কুরবানির ঈদ। এই ঈদের অন্যতম কাজ হচ্ছে পশু কুরবানি করা। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তালার কামার শিল্পের কারিগররা।
কয়লার দগদগে আগুনে লোহাকে পুড়িয়ে পিটিয়ে তৈরি করছেন সব ধারালো সামগ্রী।দেশে সকল শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগলেও এখনো আধুনিকতার কোন ছোঁয়া লাগেনি কামার শিল্পের প্রতি। পুরানো সেকালের নিয়মেই চলছে আগুনে পুড়ে লোহা হতে ধারালো সামগ্রী তৈরির কাজ।
চলমান করোনা সংক্রমণের কারণে অনেকটা ডিলে ডালা ভাবে উৎযাপ হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। দ্রব্য মূল্যের দাম কিছুটা বেশি এবং ঈদের এখনও কয়েক দিন বাকি থাকলেও জমে উঠেছে দা, কাস্তি, হাসুয়া, কোপা, ছুরি চাপাতির তৈরি শিল্প। ফলে এই মুহূর্তে অনেকটাই ব্যাস্ত সময় পার করছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলা ব্যবসায়ীরা।
জাত পুর কর্মকার পাড়ার উদায় কর্মকার ও পুল্লাদ, ভগীরত কর্মকার দৈনিক সবুজ নিশান কে বলেন, আমি প্রায় ৪০ বছর যাবৎ এ পেশায় জড়িত এর আগে আমার বাবা ঠাকুরদা রা এই শিল্পের কারিগর ছিলো। কুরবানীর ঈদ আসলেই আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়,আমরাও এ সময়ের অপেক্ষায় থাকি। দেশি চাপাতিগুলো কেজি হিসেবে বিক্রি হয় থাকে। প্রতি কেজি ওজনের চাপাতির দাম ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এছাড়া বিদেশি চাপাতির দাম ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
তালার উৎপল দত্র বলেন, সারা বছর বেচাকেনা কিছুটা কম থাকে কোনো রকম দিন পার হয়। এই সময়ের জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি। কুরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ ভালো বেচাকেনা হয়। এই সময় দামও ভালো পাওয়া যায়। লোহার তৈরি ছোট ছুরি ৬০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জবাই ছুরি মিলছে ৫০০- ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন সাইজের চাপাতি ৬০০-৮০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। দা-বঁটি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ টাকায়।
কামরুল ইসলাম,জোহর আলী, আলমগীর হোসেন, আব্দুল গাফফার জানান, কুরবানির ঈদের আরও বেশ কিছুদিন বাকি তাই আগেই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম তৈরি ধার দেওয়ার ও কেনার কাজটি সেরে ফেলছেন। তবে অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, কাটারির দাম একটু বেশি বলে জানান তারা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: নুরুল হক, শহিদ মিয়া