আনোয়ারা প্রতিনিধি
আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরা গ্রামের নাথ পাড়ায় ভায়াবহ অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ৭ বসত ঘরের লোকজন এখনো খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। অগ্নিকান্ডে ৭ পরিবারের কেউ কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারেনি। মেয়ের বিয়ের জন্য কিনে রাখা স্বর্ণালংকার, জায়গা-জমির দলীল, আইডি কার্ড, নগদ টাকা, আসবাবপত্র সবকিছুই আগুনে ভস্মিভূত হয়ে গেছে। তবে এখনো মেলেনি সরকারি সহায়তা। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আপতাব উদ্দিন সোহেল ঘটনার পরপরই পরিদর্শণে যান এসময় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা দেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন স্বপন দেবনাথ,রুপন দেবনাথ,রণজিৎ নাথ, রতন দেবনাথ,সুমন দেবনাথ ইমন, সুজন দেবনাথ, সুমন দেবনাথ।
ঘটনার পর থেকেই ক্ষতিগ্রস্তরা খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করলেও এখনো সরকারি কোনো সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ হয়ে আগুণের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যেই আগুন আশপাশের ঘরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আগুণের লেলিহান শিখা দেখে আশপাশের শত শত লোকজন আগুন নেভাতে চেষ্টা করে। পরে আনোয়ারা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মীরা যোগ দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ততক্ষণে সব শেষ হয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত সুমন দেবনাথ ইমন বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ হয়ে আগুন লাগে। চোখের পলকেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আমরা ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারিনি।অগ্নিকান্ডের পর থেকেই সবাই খোলা আকাশের নীচে মানবেতর দিন পার করছেন। আমরা ভূমিমন্ত্রী মহোদয়সহ সকলের নিকট সহযোগিতা করার আবেদন জানাই।
চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল দৈনিক স্বাধীন বাংলা ৭১পত্রিকাকে বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করি এবং ক্ষতিগ্রস্তদরে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করি। পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কম্বল এবং খাবার দেয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের আরো সরকারি বেসরকারি সহায়তা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমদ বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তরা একটি আবেদন আমার নিকট দিয়ে। আমরা প্রাথমিকভাবে কিছু খাবার এবং কম্বল দিয়েছি। ক্ষতিগ্রস্তদের আরো সহায়তা প্রদানের চেষ্টা করছি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।