কবিতা:
কেহ মিষ্টভাষী দিয়ে হাসি বিষাক্ত কথা বলে,
কারু কথা ভিষণ তিতা শুনলে মনে আগুন জ্বলে।
কিছু কথার অনেক শ্রোতা হয়তো তারা বহু দামী,
কথার পিটে চড়ে কথা- কেমন যোগ্য হলাম আমি.?
কথায় মানুষ হাসে কাঁদে কথায় ফের নাচে তা-ধীন,
প্রহেলিকার মতোই কথা একজন মোরে বলল সেদিন;-
" কি যোগ্যতা আছে রে তোর.?চাকর কোথাকার.! "
এমন বচন হইলে শ্রবণ নিত্য করে বুক হাহাকার!
ফুল পাখিদের সান্ত্বনাতে অলীক স্বপ্নে ভরে বুক,
অশ্রুসজল বোবা কান্নায়- কথাই ফের শান্তি সুখ।
অযোগ্য আজ বলছ যারে কাল হয়তো যোগ্য হবে,
আজকে আকাশ কালো বলে আজীবন কি এমন রবে.?
কি করি হায় বাচন যে দায় বাড়ছে ক্রমশ জালা,
বেকার জীবন যায়না সহন অপবাদ পাবার পালা.!
কারু কথা যেন স্বর্ণলতা জীবন বৃক্ষ করে ক্ষত,
কথার বলার স্বভাব তাহার যেন পোষা তোতার মত।
কিছু কথায় কষ্ট বাড়ায় রুষ্ট হতে করে বাধ্য,
অতি সত্তর কথার উত্তর দেবার মতো নাহি সাধ্য।
কিছু কথা ন্যায় তথা দুষ্ট মনে লাগায় মলম,
অহংকারী রমনীর বিরুদ্ধে রজনী জাগ্রত মোর কলম।
মেধা আজকাল যোগ্যতা নয় অর্থ কোটা মামা চাই,
এসব গুণের বাহিরে বলে আজও মোর চাকরি নাই।
তকদির জুড়ে বিড়ম্বনা ঘুরে যোগ্যতা নেই কর্মে,
আমি ভাগ্যহত প্রকৃতি মর্মাহত মোর কষ্টের মর্মে.!
লেখক: লাদেন মোহাম্মদ নজির,
শিক্ষার্থী, জামালগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ, জামালগঞ্জ।
রচনাকালঃ ০৭ মার্চ ২০২১ ইং (২২ ফাল্গুন ১৪২৭)
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা।