স্টাফ রিপোর্টারঃ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামে আফ.আই.বি.ডি.বি দ্বারা পরিচালিত প্রাইমারি স্কুলটি দাতা সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কুদ্দুছ এরং তার পরিবারের লোকজনের উপর স্কুলে তালা মেরে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের শিক্ষিকা আমেনা,তামান্না সালমা ইয়াসমিন । লিখিত অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, কান্দিগাঁও গ্রামে কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় না থাকায় ২০১১ সালে এফআইবিডিবি দ্বারা স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এফআইবিডিবি ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্কুল টি পরিচালনা করে। পরে গ্রামবাসী ও ইউপি চেয়ারম্যান কে স্কুলটি পরিচালনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১৪ সাল থেকে স্কুল টি সরকারি কারিকুলাম অনুযায়ী গ্রামের লোকজন দ্বারা কমিটি গঠন করে পরিচালিত হচ্ছিলো। গ্রামের ছাত্রছাত্রীরাও অন্য গ্রামে না গিয়েও এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। স্কুলের ফলাফলও ভালো। স্কুলে ১১৭ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে। কিছুদিন আগে অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বন্যায় কবলিত বালিকান্দি গ্রামের কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়। আশ্রয়কারীগন ৪-৫ দিন পর স্কুল ছেড়ে চলে গেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কুদ্দুছ ও তার ছেলে আল আমিন, তার স্ত্রী জহুরা বেগম স্কুলে অনাধিকার প্রবেশ করে জোরপূর্বক ছাত্রছাত্রীদের হুমকি ধামকি দিয়ে বের করে অবৈধভাবে দখল করে বিদ্যালয় টি তালাবদ্ধ করে দেয়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কুদ্দুছ বলেন,যদি তোরা আর কোনোদিন স্কুল পরিচালনার জন্য উদ্যোগ নেস তাহলে তোদের কে প্রাণে মেরে ফেলবো। এমতাবস্থায় আমরা শিক্ষকবৃন্দ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগিতেছি। স্কুল টি আবারো চালু করে ১১৭ জন ছাত্রছাত্রীর পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানান তারা।
লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে স্কুল পরিদর্শনে গেলে স্কুল টি তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ কুদ্দুছ বলেন, স্কুল টি আমি তালা মেরেছি। স্কুলে ২০১১ সাল থাকি ২০১৪ সাল পর্যন্ত স্কুলের টাকার হিসাব চাই, ২০১৪ সাল থাকি এই পর্যন্ত কত টাকা কি হইছে তার হিসাব দেওয়া লাগবো। আমরা কমিটির মানুষ কিচ্ছু জানি না। এখন আমার কথা হইলো স্কুলের ৪ জন মাস্টার নিরে স্কুল থাকি বাদ দিয়া নতুন কমিটি করলে আমি তালা খুইল্লা দিমু না হইলে তালা খুলতাম না।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার বলেন, এ সংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য শিক্ষা অফিসার কে দিবো।তদন্তের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।