হাওড় বার্তা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ-তাহিরপুরের প্রবীণ সাংবাদিক উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ কে নির্যাতনের ঘটনায় মানববন্ধন কে কেন্দ্র করে তাহিরপুর সদর বাজারে পরিকল্পিত হামলায় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তানসেন তালুকদার তুষারসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারী ও পুলিশের গুলিতে বাড়িতে থাকা বিনা অপরাধে শিশু-নারী সহ ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যপক্ষদর্শীরা জানান, তাহিরপুরের প্রবীন সাংবাদিক রমেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখে নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর সদর বাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে বিকেল ৫ টায় উপজেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক রুকন তালুকদার এর ভাতিজা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক তানসেন তালুকদার তুষার এর উপর পরিকল্পিত হামলা চালায় তাহিরপুর উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাফিজ উদ্দিন ও তার ভাতিজা আবুল বাশার, আবু শামা, আবু হানিফ,জোসেফ মিয়া সহ ১৫/২০ জন। দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে তানসেন তালুকদার তুষার এর উপর নির্মম পরিকল্পিত হামলার প্রেক্ষিতে সদর পশ্চিম বাজারে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এ সময় তানসেন তালুকদার তুষারের কর্মী সমর্থক, ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে গেলে সদর পশ্চিম বাজারে বিনা কারনেই পুলিশ গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশের গুলিতে তানসেন তালুকদার তুষার এর আম্মা ও বাড়িতে থাকা একাধিক নারী শিশু সহ ১২ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
হামলায় গুলিবিদ্ধ অঞ্জু মিয়া বলেন, উপজেলার উজান তাহিরপুর গ্রাম থেকে হঠাৎ ২০/৩০ জন ছাত্রলীগ নেতা তানসেন তালুকদার তুষার এর উপর অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিত হামলা চালায়। পুলিশের গুলিতে আহত অন্যান্যরা হলেন শিশু অংকন গণি (১২), আনাছ (১০), তানসেন তালুকদার তুষার এর আম্মা সুমি আক্তার (৪০), আঞ্জু মিয়া (৩৫), রুসেল মিয়া (২৫),বর্ষা (১৬), রুনা (৪০), অনিক মিয়া (১২), মেজারুল (৪০), রাসেল মিয়া (৩৫),মাছুম (২০) ও ভাটি তাহিরপুর গ্রামের মাফিক মিয়ার স্ত্রী।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবদুল লতিফ তরফদার বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি চালায়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।