যশোর জেলা প্রতিনিধি।
মণিরামপুরে স্কুল ছাত্রী (১৪) ধর্ষনের অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মনিরামপুরের আলআমিন পার্কের মালিক কে আটক করেছে মণিরামপুর থানা পুলিশ। আটক রহমান উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে।
এলাবাসীর ধারণা প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় বাড়ছে ধর্ষনের মতো অপরাধ! কেননা মণিরামপুর উপজেলার বিগত দিনের এসিল্যান্ড গুলো প্রায় প্রায় আলামিন পার্ক, পূরবী সিনেমা, মধুমিতা সিনেমা হলে অবৈধ শারীরিক কাজকর্ম করার অপরাধে জরিমানা আদায় সহ জেল হাজতে প্রেরণ করতেন। ফলে অপরাধ কিছু টা হলেও কম ছিল। কিন্তু বর্তমন এসিল্যান্ড নীরব ভূমিকা পালন করায় আল-আমিন পার্কে ঘটেছে ধর্ষণের মত ভয়ঙ্কর ঘটনা। একই ভাবে নির্ভারযোগ্য সূত্র বলছে এখন আর কেউ সিনেমা দেখতে হলে আসেনা বা হলে আসার মতো সেই পরিবেশ নেই বিধায় মণিরামপুর দু'টি সিনেমা হলেই চলে অবৈধ শারিরীক কাজকর্ম অথচ প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। আবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে ধারণা করে বলছেন মণিরামপুরে এই সব অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে প্রশাসন একশনে যাওয়ার কারণে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বার বার এসিল্যান্ড বদলি করা হয়েছে মণিরামপুর থেকে। তবে প্রশাসন যদি এভাবে নিবার থাকে তালে আগামীতে আরও ঘটতে পারে নানান অঘটন।
আল- আমিন পার্কের ঘটে যাওয়া ঘটনায় ধর্ষিতার পিতা গত বৃহস্পতিবার রাতে পার্ক মালিক রহমানের নামে মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বিবরনীতে জানা যায়, গত ১৮ ই ফেব্রুয়ারী দুপুরে পার্ক মালিক আঃ রহমান মেয়েটিকে ফুসলিয়ে নিয়ে পর্কের একটি ঘরের ভিতর ধর্ষনের চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন উদ্ধার করে তার মায়ের কাছে দিয়ে দেয়।
মেয়েটির মা জানান, পাশাপাশি বসবাসের সুবাদে সে তার মেয়েকে এর আগেও প্রেমের প্রস্তাব দিত। তাহেরপুর ওয়ার্ড কমিশনার গত বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারি মেয়ে সহ তার পরিবার আমার কাছে আসলে আমি তাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেই। মণিরামপুর থানার এস আই আশরাফুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ধর্ষনের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর তাকে আটক করা হয়েছে এবং ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা।
সম্পাদক: কাউছার উদ্দিন সুমন, নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ, বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান। অস্থায়ী বার্তা বাণিজ্যিক কার্যলয়: জয়নগর বাজার, সুনামগঞ্জ। ই-মেইল: Haworbartaofficials@gmail.com মোবাইল: ০১৬৪৭-৮৩৪৩০৩।