রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন

পরিবেশ দূষণ করেছে মণিরামপুরের সরদার ব্রিকস।

তাহিদুল ইসলাম
  • সংবাদ প্রকাশ মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

মনিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি 

মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা ইউনিয়নের দোদাড়িয়া গ্রামে ঘনবসতি পুর্ণ স্থানে ও প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের গা ঘেসে চলছে সরদার ব্রিকস ইট ভাটার কার্যক্রম। ফলে যেমন পরিবেশ দূষন হচ্ছে তেমনি ক্ষতি হচ্ছে স্কুল গামী শিশু শিক্ষার্থীদেরও। মৃদু বাতাসে ধেঁয়ে আসা ভাটার গরম হাওয়া ও কালো ধোঁয়া ইতিপুর্বে স্কুলের অনেক শিশু শারিরীক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে।কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারেনি ভাটা মালিক রবিউল ইসলামের। কারন ভাটা মালিক হলেন এলাকা প্রভাবশালী ব‍্যক্তি। শুধু এই নয় ভাটা সংলগ্ন ফসলী জমি ও গাছগাছালি গিলে খাচ্ছে এই ভাটাই। এ সকল বিষয়ে অনেক জমির মালিকদের সাথে ভাটা মালিকের গোলযোগের বিষয় শোনা যায়।

স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সরদার ইট ভাটাটি গড়ে উঠেছে প্রাথমিক বিদ‍্যলয়ের ক্লাসরুম ঘেষে শতশত শিশু ভাটার ময়লার দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক শিশু। ঘনবসতি থাকায় ধুলার জন্য রান্না করতে সমেস্যা হয়। এলাকায় এবং ফসলী জমির সাথে এই ভাটাটি গড়ে উঠেছে ফলে কৃষক ধান চাষ করতে পারছে না।ধুলার কারনে ধানের জমি ধুলার পদ্দা পড়ে ধান গাছ সহো সকল ফসলের গাছ মারা যাচ্ছে। এমন অভিযোগ বার বার সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে পড়ায় গত বছর বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বুল ড্রেজার দিয়ে ভাটার ক্লিন ভাংচুর করে ভাটাটি বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ভাটা মালিক পুনরায় ঐ ক্লিন গেঁথে আবারও ইট পোড়ানো শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে ঐ সময় ভাটা মালিক যশোরের কাস্টমসকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে পূনরায় ভাটা চালু করেছিল। অফিস সুত্রে জানা গেছে, সরদার ব্রিকস চালু করার জন‍্য ও কাগজ করার জন‍্য আবেদন করেছিল সেই আবেন ফেলে দেছে। অথচ কেমন করে কাগজ পত্র ছাড়া ভাটাটি চলছে এই নিয়ে রিতিমত এলাকায় গুঞ্জন চলেই আসছে। ধারনা করা হচ্ছে ইট ভাটা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে মোটা অংকের টাকা দিয়ে দিয়ে সম্পুর্ণ রুপে অবৈধ ভাবে ইট ভাটাটি চালাচ্ছে ভাটা মালিক রবিউল ইসলাম।

অবৈধভাবে গড়ে তোলা সরদার ইট ভাটায় ইতি পুর্বে বিদ‍্যুৎ সংযোগ না থাকায় অবৈধভাবে পাশের এক বাড়ি থেকে লাইন টেনে এনে আলো জালাতো। সেদিনও অবৈধভাবে বিদ‍্যুৎ লাইনের তারে জড়িয়ে দোদাড়িয়া গ্রামের এক যুবকের মৃত্য হয়। ভাটা মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় সেদিন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে রক্ষা পেয়েছিল ভাটা মালিক। উপজেলার বিভিন্ন ভাটা ঘুরে একটাই বিষয় নজরে এসেছে, দোদাড়িয়া গ্রামের সরদার ব্রিকস এর গাঁ ঘেঁসে যেমন বিদ‍্যালয় রয়েছে ও বিভিন্ন পরিবারের বসতভিটা আছে এমন দৃশ‍্য বেলতলা বাজার সংলগ্ন আরও একটি ভাটা চোখে পড়ে।

এ সকল বিষয় নিয়ে ইতি পুর্বে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও নজরে আসেনি কতৃপক্ষের। যার কারন হিসাবে অপর এক ভাটা মালিক বলেছেন আপনারা যত পত্রিকায় লিখবেন অফিসারদের ঘুষের ভাগ তত বেশি হবে। বিনিময়ে আপনারা কিছুই পাবেননা। তিনি আরো বলেন, সিজনে কাস্টমসসহ অন‍্যন‍্য অফিসে প্রচুর পরিমানে টাকা দিতে হয়। যার কারনে আপনারা যতই লেখেন না কেন ভাটা বন্ধ হবে না। ভাটা বন্ধ করতে হলে এক মাত্র বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরীই পারে ভাটা বন্ধ করতে। স্থানীয়দের দাবী ইট ভাটাটি বন্ধ হলে যেমন বাঁচবে শিশু শিক্ষার্থীরা তেমন বাঁচবে আশপাশের ঘনবসতি সাধারণ মানুষ। রক্ষা হবে আবাদী জমির ফসল ও বিভিন্ন ফলফলাদি গাছগাছালি। তাই অবৈধভাবে চালু করা সরদার ব্রিকস ইট ভাটাটির দিকে নজর দিতে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকা বাসি সহো ইস্কুলে ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষাকরা।দ্রুত বিষায়টা তদন্তের জন্য অনুরোধ করেন সাধারণ জনগণ।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281