টানা এক সপ্তাহের বর্ষণ পাহাড়ি ঢলে মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দোয়ারাবাজার উপজেলায় সর্বত্রই বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে অধিকাংশ সড়ক তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যে কোনো সময় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ যেতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিসহ আশপাশ এলাকার ৫৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জানা যায়, দোয়ারাবাজার উপজেলা থেকে যাতায়াতের রোড ছাতক সিলেটসহ দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার, সদর, সুরমা, বাংলাবাজার , বোগলাবাজার , নরসিংপুর লক্ষিপুর, দোহালিয়া সহ ৮টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
গত সোমবার বিকাল পর্যন্ত দোয়ারার সুরমা,খাশিয়ামারা, চেলা নদীসহ সব নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি এখানে ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। ইতোমধ্যে বন্যায় তলিয়ে গেছে এখানের বহু রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, শতাধিক সরকারি প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বীজতলা ও শত শত একর উঁচু জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।এতে পোরা উপজেলার কৃষকদের প্রায় কোটি টাকারও অধিক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন , মাদ্রাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেশিরভাগ পাড়া-মহল্লায় বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। নিচু এলাকার বাসাবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নৌকার অভাবে উদ্ধার করতে পারছেন না।
উজানে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এখানে কয়েকটি নদীতে ব্যাপক হারে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। দোয়ারা শহরের সব ক্রাশার মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। । এতে হাজারো শ্রমিকরা এক সপ্তাহ ধরে বেকার হয়ে পড়েছেন।
বন্যার পানিতে প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি সড়কগুলি তলিয়ে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাংশু কুমার সিংহ মহোদয়কে হাওড় বার্তা দোয়ারাবাজার উপজেলা বিশেষ প্রতিনিধি আবু তাহের মিসবাহ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, দোয়ারাবাজার বন্যার হতে পূর্বাভাস জনসাধারণকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।
বন্যা কবলিত গৃহবন্ধীদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান যে ইতিমধ্যে আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে পরিদর্শন করে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি এবং উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র যেমন প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল সহ বিভিন্ন সরকারি ভবনে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি।
ক্ষতিগ্রস্তলোকদের সহযোগিতার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান আপাতত আমরা শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করতেছি এবং উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
এই দ্বারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।