নিজেস্ব প্রতিবেদন: বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওর সহ বিভিন্ন হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধে ছোট ছোট ফাটল দেখা দিয়েছে। বাঁধে বাঁশ ও বস্তা না দেয়ায় করচার হাওরের ১নং, ২নং ও ৪নং পিআইসির বাঁধগুলো অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এতে দুশ্চিতা বেড়েছে কৃষকদের।
হাওর পার্শ্ববতীর্ নদীতে অতিরিক্ত পানি বাড়ায় উপজেলার করচার হাওরের ১নং পিআইসির হরিমনের ভাঙ্গা ও বেকা বাঁধ সহ বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকার ঢেউয়ে বাঁধের পাড় ভেঙ্গে যাচ্ছে।
উপজেলার আঙ্গারুলী হাওরের ৯নং পিআইসির খাদ্য গোদামের পাশে ২টি বাঁধে এবং করচার হাওরের রাজার বাঁধে গর্ত হয়ে পানি প্রবেশ করছিল। স্থানীয় কৃষক ও পাউবো সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতায় গর্তগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, বাঁধে প্রয়োজনীয় বাঁশ ও বস্তা লাগানো হয়নি। নদীতে পানি বাড়ায় এবং ইঞ্জিন চালিত নৌকার ঢেউয়ে ভাঙ্গছে বাঁধ। জরুরী ভিত্তিতে বাঁধ এখন বাঁশ ও বস্তা দিয়ে শক্ত করা এবং বাঁধে সার্বক্ষণিক পাহারার ব্যবস্থা করা দরকার।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক আহমেদ বলেন, হালির হাওরের একাংশে ১৭নং পিআইসির কালা গাংঙ্গের ক্লোজার ও ২২নং পিআইসির সিমের খাড়া ও শামছুল খাড়ায় ছোট ছোট ফাটল দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাঁধগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে বস্তা ও মাটি ফেলা প্রয়োজন।
এদিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর পূর্ব অঞ্চল সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী এসএম শহিদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নিবার্হী অফিসার মো. সাদি উর রহিম জাদিদ প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।