শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন

বিশ্বনাথে গ্রাহকের টাকা আত্নসাতের মামলায় ইর্শ্বাদ আলী কারাগারে

মোঃ আবুল কাশেম
  • সংবাদ প্রকাশ রবিবার, ৮ আগস্ট, ২০২১
  • ৫৮৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজার সংলগ্ন ‘মেসার্স আল-আমিন ব্রিকর্স’র মালিক ও বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী ইশাদ আলীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ নিয়েছেন আদালত। ১৫৪ জন গ্রাহকের টাকা আত্নসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত ইর্শ্বাদ আলী ‘প্রতারণা’র অভিযোগে দায়েরকৃত একটি মামলায় রোববার (৮ আগস্ট) আদালতে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ওই নির্দেশ প্রদান করেন। অভিযুক্ত ইর্শ্বাদ আলী বিশ্বনাথ পৌর শহরের চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত তবারক আলীর পুত্র।

আলোচিত ইটভাটা মালিক ইর্শ্বাদ আলীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে গত ৩০ জুন সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালতে একটি সিআর মামলা দায়ের করেন উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রগুপুর গ্রামের মদরিছ আলীর পুত্র ও বিশ্বনাথ ট্রাক-পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফরিদ মিয়া। ওই মামলায় ইর্শ্বাদ আলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩য় আদালত এর বিচারক হারুনুর রশিদের আদালতে জামিন আবেদন করেন।

ইর্শ্বাদ আলীর জামিন নামঞ্জুর হওয়ার সত্যাতা নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী খালেদ হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১০ বৎসর ধরে ব্যবসায়িক লেনদেন থাকার সুবাদে অভিযুক্ত ইর্শ্বাদ আলী ও তার পুত্র নাজমুল ইসলামের সাথে মামলার বাদী ফরিদ মিয়া সু-সম্পর্ক ও বিশ্বাস গড়ে উঠে। আর এর সূত্রে ধরে ‘ইট, কংক্রিট. বালু ও পাথরের ব্যবসায়ী’ মামলার বাদী অভিযুক্তদের ইটভাটা হতে প্রতিনিয়ত ইট ক্রয় করে বিক্রি করে আসছেন। এমতাবস্থায় ২০১৫ সালে বাদীর কাছ থেকে কাচা ইট পুড়ানোর কথা বলে অভিযুক্তরা সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা নেন। কথা ছিলো ওই টাকা ইট ভাটায় ইট পুড়ানো কার্যক্রমের পুঁজি হিসেবে অভিযুক্তরা বিনিয়োগ করবেন এবং প্রতি বছর ফরিদ মিয়াকে নগদ টাকায় ব্যবসার সুবিধার্থে সর্ব প্রথম ইটভাটা হতে পাকা ইট প্রদান করিবেন। এমতাবস্থায় যদি বাদী অভিযুক্তদের সাথে তার ব্যবসা বন্ধ করে দেন সেক্ষেত্রে অভিযুক্তরা বাদীর পাওনা টাকা (সাড়ে ৭ লাখ) পরিশোধ করবেন।

আইনজীবী খালেদ হোসেন আরো জানান, কিন্তু অভিযুক্তরা তাদের শর্ত ভঙ্গ করায় গত ৮ জুন অভিযুক্তদের কাছে নিজের দেওয়া জামানতের পাওনা টাকা ফেরত চান মামলার বাদী ফরিদ মিয়া। টাকা পরিশোধের জন্য এক সপ্তাহের সময় নেন অভিযুক্তরা। পবর্তীতের ১৬ জুন আবারও টাকা ফেরত চাইলে বাদীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন অভিযুক্তরা। বাদীর সরলতা ও বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে অভিযুক্তরা বাদী ফরিদ মিয়ার সাথে প্রতারণ করেন। এছাড়া বাদী ফরিদ মিয়ার কাছ থেকে আরও ৭ লাখ টাকা কর্য (ধার) নেন অভিযুক্ত ইর্শ্বাদ আলী ও নাজমুল ইসলাম। ওই ৭ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় আরও একটি মামলা দায়ের করেন বিশ্বনাথ ট্রাক-পিকআপ কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফরিদ মিয়া।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281