বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে আলোচিত ‘সায়মন’ হত্যা মামলায়, পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে থানা পুলিশ।
চার্জশীটে অভিযুক্তরা হলেন, জানাইয়া গ্রামের মনোহর আলীর ছেলে খুনি এনাম উদ্দিন, তার সহযোগী মস্তাব আলীর ছেলে তাহিদ আলী, ভিকটিমের বন্ধু, আব্দুল মছব্বিরের ছেলে আফজাল হোসেন লায়েক, মৃত তাহির উল্লাহর ছেলে ফয়েজ আহমদ ও তোরাব আলীর ছেলে তারেক আহমদ।
অব্যাহতি দেয়া হয়, মামলায় গ্রেফতার একই গ্রামের মৃত মনা উল্লাহর ছেলে উস্তার আলী (৬৫) কে। অভিযুক্ত সকল আসামির বয়স ২০ থেকে ২৫ এর ভেতর।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই অরূপ সাগর গুপ্ত কমল জানান, তদন্ত শেষে মামলাটির আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়েছে। মামলায় একজন বৃদ্ধকে ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় অব্যাহতি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ রাত ১০টায় উপজেলা পরিষদ সড়ক এলাকায় উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন করা হয় ইরমান আহমদ সায়মনকে।
তার বাড়ি পৌরসভার জানাইয়া দক্ষিণ মশুলা গ্রামের মছলন্দর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই ময়নুল ইসলাম সুমন পাঁচজনকে আসামি করে বিশ্বনাথ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং--২৭, তাং-২২.০৩.২১)।
ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সায়মনকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ডেকে নিয়ে আসে তিন বন্ধু লায়েক, ফয়েজ ও তারেক। বিশ্বনাথ একটি রেস্তোরায় খাবার শেষে আল-হেরার সামনে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেয়।
পরে তারা সায়মনকে নিয়ে, ঘটনাস্থল উপজেলা পরিষদ সড়ক এলাকায় শুকুর আলীর বাড়ী সংলগ্ন রাস্তায় পৌঁছায়।
ওখানে এনাম ও তাহিদের সাথে তাদের সাক্ষাত ঘটে। এক পর্যায়ে শুকুর আলী ভাড়াটিয়া সুমি বেগম নামের জনৈক নারীকে নিয়ে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে খুনি এনাম সায়মনকে ছুরিকাঘাত করে।
পরে সবাই মিলে পরিকল্পিত এ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ঘটনাকে ছিনতাইয়ের নাটক সাজায়।
চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা।
সম্পাদক: কাউছার উদ্দিন সুমন, নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ, বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান। অস্থায়ী বার্তা বাণিজ্যিক কার্যলয়: জয়নগর বাজার, সুনামগঞ্জ। ই-মেইল: Haworbartaofficials@gmail.com মোবাইল: ০১৬৪৭-৮৩৪৩০৩।