নুরুল বশর মহেশখালী কক্সবাজার:- মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে আগুনে ১০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের।রবিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ইউনিয়নের নতুন বাজারে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবুল বশর জানান, রবিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে আলী হোছেনের কুলিং কর্ণারের দোকানের বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।মুহূর্তের মধ্যে আগুন আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন প্রায় ৩০/৪০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এই সময়ের মধ্যে আবুল বশর,মোরশেদ,মোহাম্মদ ইউনুস, মোহাম্মদ আনছারের ফলের দোকান,আলী হোছেনের কুলিং কর্ণার, মকসুদ আহমদ,রিদোয়ান বদ,ছাবের আহমদ-এর কাপড়ের দোকান,নেজাম উদ্দিনে এবং সেলিমের ভাসমান পণ্যের দোকানসহ মোট ১০ টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আনছার জানান, এই অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের প্রায় অর্ধ-কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ধার-দেনা করে ও লোন নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এখন এসব ব্যবসায়ী সর্বস্বান্ত হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান,ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় ৩০/৪০ মিনিট চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
মাতারবাড়ী নতুন বাজারের ইজারাদার রাকিবুল ইসলাম রিটন জানান, করোনার কারণে এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত আমি এবং ব্যবসায়ীরা।ধার-দেনায় জর্জরিত আমরা । এমন দুঃসময়ে তাদের দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ফলে সর্বস্বান্ত তারা।তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু হায়দার। তিনি বলেন,খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে এসে জনগণের সহায়তায় আগুন নিভিয়েছি। আমি মাননীয় সংসদ সদস্য, ইউএনও এবং পিআইও অফিসে হতাহতের খবর জানিয়েছি। তাঁরা সহায়তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী এবং কম্বল বিতরণ করেন বলে জানান তিনি।বিষয়টি নিশ্চিত করে মহেশখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের টিম লিডার রাম প্রসাদ দাস বলেন, মাতারবাড়ী নতুন বাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্থানীয় জনসাধারণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের, আফতাব উদ্দিন।