শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
হাওর বাঁচাও আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির তৃতীয় সম্মেলনে হাওর বিষয়ক মন্ত্রনালয় গঠনের দাবি।দূর্নীতির বিষবৃক্ষে জাতি দিশেহারা, মুখ বন্ধের শেষ কথায় ?সুনামগঞ্জের কুস্তি খেলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনহজ্জের অন্তরালে অবৈধ ভাবে একাদিক বিয়ে করছেন আয়েশাছাতক-দোয়ারাবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পুষ্টি গুণ বিস্কুট বিতরণ।শান্তিগঞ্জে নতুন করে যাত্রা শুরু করলো রুরাল ডেভেলপমেন্ট হেল্থ সেন্টার এন্ড ডায়াগনস্টিক।বিশ্বম্ভরপুর থানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্ণার ও লাইব্রেরির উদ্ভোধন। ছাতকে শিক্ষানুরাগী নুর মোহাম্মদ ময়না মিয়া’র ইন্তেকাল।হাওড়ের নেই মাছ : ঋনের চাপে দিশেহারা জেলে।বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব উপাধ্যক্ষ ড.মোঃ আব্দুস শহীদ এমপি অনলাইন ফোরামের উপদেষ্টা মনোনীত হলেন উম্মে ফারজানা ডায়না।

তালায় হলুদ চাষে বাম্পার ফলন লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

মোঃ লিটন হুসাইন
  • সংবাদ প্রকাশ শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

 তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি

কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন অঞ্চল তালা উপজেলায় এবার হলুদের আবাদ বৃদ্ধি, বাম্পার ফলন সকল লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম।

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে বেলে বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে হলুদ সোনা বা হলুদ চাষ করে তালা উপজেলার কৃষকরা এখন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।গত বছর তালা উপজেলা য় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫০ হেক্টর জমিতে, এবং অর্জন হয়েছিল ৩৫০ হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে হলুদের আবাদ হয়।এ বছর হলুদের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে, লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৪১০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন কৃষি অধিদপ্তর তালা।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার সদর,খলিলনগর,তালা সদর চাষীরা হলুদ চাষ করেছেন।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হচ্ছে তালা খলিলনগর ও জালালপুর ইউনিয়েনে কানায়দিয়া এলাকায় ও পাটকেলঘাটা কুমিরা ইউনিয়নে। এ উপজেলায় ৪১০ হেক্টর জমিতে লাভজনক ফসল হিসেবে হলুদের চাষ হয়েছে। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে চাষীরা জমিতে পরিচর্যা করছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, হলুদ চাষ খুবই লাভজনক।

হলুদ চাষ সাধারণত জৈষ্ঠ মাসের শেষে আষাঢ় মাসের শুরুতে হলুদের বীজ লাগাতে হয়। প্রতি বিঘাতে ৪ থেকে ৫ মন হলুদের বীজ লাগে। হলুদ মাত্র ৬ -৮ মাসের মধ্যেই উঠানো যাই।

বিঘা প্রতি হলুদ ৭০-৮০ মণ হয়ে থাকে । এক বিঘা জমিতে হলুদের আবাদ করতে খরচ হয় মাত্র ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর প্রতিমণ হলুদ বিক্রি হয় ১০০০ থেকে ১২০০ শ’ টাকা।

হলুদ চাষে লাভ আর লাভ। কৃষকরা বলেন, হলুদ বিক্রি করতে কষ্ট হয় না। বাজারে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকাররা হলুদ কিনে নেই । খলিল নগর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক আ: রহমান ও জলিল শেখ ও নূর ইসলাম হাওড় বার্তা কে জানান, প্রতি বিঘাতে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ৭০ থেকে ৮০ মণ হলুদ পাওয়া যাই, যার বাজার মূল্য ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে বিঘাপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে। তাদের মতে তিন – চার বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করে ৪ -৬ বছরে লাখপতি হওয়া সম্ভব।

তালা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন হাওড় বার্তা কে জানান তালা উপজেলায় গত বছর ৩৫০ হেক্টরের কিছু বেশি পরিমাণ জমিতে হলুদের চাষ হয়েছিলো এবং লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছিলো । এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪১০ হেক্টর হবে। তালা এলাকার হলুদের চাহিদা অন্য জেলা ও বিভাগীয় শহরে ব্যাপক রয়েছে।তালা উপজেলা য় কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে,আমরা সর্ব সময় কৃষকদের সেবা দিয়ে যাবো। আবহাওয়া উপযোগী থাকায় এই উপজেলায় ফসলের উৎপাদন খরচ খুব কম,পাশাপাশি রাসায়নিক সারের প্রয়োজন খুব কম,গত বছরের তুলনায় এবার হলুদের আবাদ বেড়েছে লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করেছে।

সর্বশেষ সংবাদ পেতে চোখ রাখুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সব ধরনের সংবাদ
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধনকৃত পত্রিকা। © All rights reserved © 2018-2024 Haworbarta.com
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: Jp Host BD
jphostbd-2281