তালা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি
কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন অঞ্চল তালা উপজেলায় এবার হলুদের আবাদ বৃদ্ধি, বাম্পার ফলন সকল লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম।
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে বেলে বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে হলুদ সোনা বা হলুদ চাষ করে তালা উপজেলার কৃষকরা এখন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।গত বছর তালা উপজেলা য় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৫০ হেক্টর জমিতে, এবং অর্জন হয়েছিল ৩৫০ হেক্টরের কিছু বেশি জমিতে হলুদের আবাদ হয়।এ বছর হলুদের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে, লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৪১০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন কৃষি অধিদপ্তর তালা।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার সদর,খলিলনগর,তালা সদর চাষীরা হলুদ চাষ করেছেন।এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হচ্ছে তালা খলিলনগর ও জালালপুর ইউনিয়েনে কানায়দিয়া এলাকায় ও পাটকেলঘাটা কুমিরা ইউনিয়নে। এ উপজেলায় ৪১০ হেক্টর জমিতে লাভজনক ফসল হিসেবে হলুদের চাষ হয়েছে। এখন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে চাষীরা জমিতে পরিচর্যা করছেন। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, হলুদ চাষ খুবই লাভজনক।
হলুদ চাষ সাধারণত জৈষ্ঠ মাসের শেষে আষাঢ় মাসের শুরুতে হলুদের বীজ লাগাতে হয়। প্রতি বিঘাতে ৪ থেকে ৫ মন হলুদের বীজ লাগে। হলুদ মাত্র ৬ -৮ মাসের মধ্যেই উঠানো যাই।
বিঘা প্রতি হলুদ ৭০-৮০ মণ হয়ে থাকে । এক বিঘা জমিতে হলুদের আবাদ করতে খরচ হয় মাত্র ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা। আর প্রতিমণ হলুদ বিক্রি হয় ১০০০ থেকে ১২০০ শ’ টাকা।
হলুদ চাষে লাভ আর লাভ। কৃষকরা বলেন, হলুদ বিক্রি করতে কষ্ট হয় না। বাজারে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাইকাররা হলুদ কিনে নেই । খলিল নগর ইউনিয়নের গ্রামের কৃষক আ: রহমান ও জলিল শেখ ও নূর ইসলাম হাওড় বার্তা কে জানান, প্রতি বিঘাতে ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ৭০ থেকে ৮০ মণ হলুদ পাওয়া যাই, যার বাজার মূল্য ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে বিঘাপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকে। তাদের মতে তিন – চার বিঘা জমিতে হলুদ চাষ করে ৪ -৬ বছরে লাখপতি হওয়া সম্ভব।
তালা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন হাওড় বার্তা কে জানান তালা উপজেলায় গত বছর ৩৫০ হেক্টরের কিছু বেশি পরিমাণ জমিতে হলুদের চাষ হয়েছিলো এবং লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছিলো । এ বছর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫০ হেক্টর জমিতে এবং লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৪১০ হেক্টর হবে। তালা এলাকার হলুদের চাহিদা অন্য জেলা ও বিভাগীয় শহরে ব্যাপক রয়েছে।তালা উপজেলা য় কৃষকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আছে,আমরা সর্ব সময় কৃষকদের সেবা দিয়ে যাবো। আবহাওয়া উপযোগী থাকায় এই উপজেলায় ফসলের উৎপাদন খরচ খুব কম,পাশাপাশি রাসায়নিক সারের প্রয়োজন খুব কম,গত বছরের তুলনায় এবার হলুদের আবাদ বেড়েছে লক্ষ্যমাত্রাও অতিক্রম করেছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাউছার উদ্দিন সুমন
নির্বাহী সম্পাদক: আনিছুর রহমান পলাশ
বার্তা সম্পাদক: শহিদুল ইসলাম রেদুয়ান
সাব এডিটর: আবু তাহের মিসবাহ ও হাকিম আফতাব উদ্দিন
নিউজরুম: 01729-880016 বিজ্ঞাপন: 01647-834303 বার্তা বাণিজ্যিক কার্যলয়:- জয়নগর বাজার,সুনামগঞ্জ,সিলেট। ই-মেইল:- Haworbartaofficials@gmail.com